• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০১৯, ০৭:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৮, ২০১৯, ০৭:৩৬ পিএম

তদন্তে আইইডিসিআর’র ৫ সদস্য

পাবনায় ডায়রিয়ায় দুদিনে ১৫৮ জন আক্রান্ত  

পাবনায় ডায়রিয়ায় দুদিনে ১৫৮ জন আক্রান্ত  
দোয়া মাহফিলের খিচুড়ি খেয়ে অসুস্থ কয়েকজনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ছবি : জাগরণ

পাবনা সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামে খিচুড়ির বিষক্রিয়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত দুদিনে এই গ্রামের ১৫৮ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৩ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ভয়ের কোনো কারণ নেই বলে দাবি পাবনা স্বাস্থ্য বিভাগের। একই এলাকার এত বেশি সংখ্যক মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কারণ অনুসন্ধানে ঢাকা থেকে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ৫ সদস্যের তদন্ত দল সোমবার (৮ জুলাই) পাবনার বলরামপুর গ্রামে কাজ শুরু করেছেন।

জানা গেছে, পাবনা সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামের মরহুম ঈমান আলীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গত শুক্রবার (০৫ জুলাই) দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে স্বজনরা। দোয়া মাহফিল শেষে উপস্থিত এলাকাবাসীর মাঝে তাবারক হিসেবে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়। অনেকেই সেই খিচুড়ি বাড়িতে নিয়ে যান এবং শনিবার সকালেও সেই খিচুড়ি খায়। শনিবার রাত থেকে তাদের প্রথমে জ্বর পরে বমি ও ডায়রিয়া শুরু হয়। এরপর একে একে অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনরা। রোববার পর্যন্ত পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৯ জন থাকলেও সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিশুসহ ৫৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আর আক্রান্ত এলাকায় অনুসন্ধানে গিয়ে মোট ১৫৮ জনকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সন্ধান পেয়েছে পাবনার স্বাস্থ্য বিভাগ। এ ঘটনায় সুমাইয়া আক্তার সুখী (১৪) নামের এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

আক্রান্ত রোগীর স্বজনরা জানান, মিলাদের খিচুড়ি খাওয়ার পর থেকে তাদের মধ্যে প্রথমে জ্বর, পরে বমি ও ডায়রিয়া শুরু হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাবে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর মাঝে।

পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মেহেদী ইকবাল জানান, আক্রান্ত এলাকায় জীবাণুমক্ত করতে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়েছে। একাধিক মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করছে। পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাবহ রয়েছে। নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত তারা কাজ করবে জানান তিনি। 

রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, আইইডিসিআর এর অনুসন্ধান দল কাজ করছে, তারা নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার পর বিস্তারিত জানা যাবে। তবে ভয়ের কোনো কারণ নেই। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।

আইইডিসিআর’র অনুসন্ধান দলের প্রধান মেডিকেল অফিসার ডা. ফেরদৌস রহমান জানান, তারা এলাকা পরিদর্শন ও অসুস্থ রোগী এবং তাদের স্বজনদের সাথে কথা বলেছেন। রোগীদের বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে ডায়রিয়ার কারণ। 

ঘটনার পর জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের তিনটি মেডিকেল টিম ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে সার্বক্ষণিক কাজ করছে।

কেএসটি

আরও পড়ুন