• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০১৯, ০৩:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৯, ২০১৯, ০৩:৩০ পিএম

সন্তান হত্যায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেলেন মা

সন্তান হত্যায় মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস পেলেন মা

দেড় বছরের শিশু ডিপজল হত্যা মামলায় তার মাসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বাগেরহাটের মোল্লাহাটের ওই ঘটনায় বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছিলেন শিশুর মা লতিফা বেগম, প্রতিবেশী মনির মোল্যা ও নাজমা বেগম। আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) তাদের খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
  
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক খান ফরিদ ও সাইফুর রহমান রাহি। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ মান্নান মোহন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আতিকুল হক সেলিম।

ফজলুল হক খান ফরিদ দৈনিক জাগরণকে বলেন, চাক্ষুষ সাক্ষী না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে শিশুর মাসহ সবাই খালাস পেয়েছেন।
 
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ মান্নান মোহন বলেন, সাক্ষীদের সাক্ষ্যে গরমিল থাকাসহ বিভিন্ন কারণে ডেথ রেফারেন্স রিজেক্ট করা হয়েছে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করা হবে।

২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল বাগেরহাটের দায়রা জজ আদালতের রায়ে মোল্লাহাট উপজেলার নগরকান্দি গ্রামের ইকু বিশ্বাসের স্ত্রী ও ডিপজলের মা লতিফা বেগম, একই গ্রামের আয়েন উদ্দিন মোল্যার ছেলে মনির মোল্যা ও লুৎফর রহমানের স্ত্রী নাজমা বেগমকে মৃত্যুদণ্ড দেন। তাদের মধ্যে মনির মোল্যা ও নাজমা বেগম সম্পর্কে ভাই-বোন।

পরে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে বিষয়টি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, লতিফা বেগমের সঙ্গে প্রতিবেশী মনির মোল্যার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে ঝগড়ার পর স্ত্রী লতিফা বেগমকে মারধর করেন ইকু বিশ্বাস। পরকীয়ায় বাধা ও মারপিটের ঘটনায় আসামিরা ইকু বিশ্বাসের ওপর ক্ষিপ্ত হন।

২০০৫ সালের ১২ এপ্রিল ভোরে ডিপজল নিখোঁজ হয়। পরের দিন বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই মোল্লাহাট থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ওই বছরের ২৯ অক্টোবর মনির মোল্যা ও নাজমা বেগমকে আসামি করে মোল্লাহাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন ইকু বিশ্বাস। তদন্ত শেষে ২০০৬ সালের ১০ মে এজাহারভুক্ত দুই আসামি ও শিশুটির মা লতিফা বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

এমএ/ এফসি

আরও পড়ুন