• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০১৯, ০৬:২৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৯, ২০১৯, ০৬:২৫ পিএম

টানা বর্ষণে আবারও গাইবান্ধায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি

টানা বর্ষণে আবারও গাইবান্ধায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি

টানা বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার ভাঙন ও পানি আবারও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে নিচু এলাকা।

পানি কমার সাথে সাথে যারা পুনরায় বাড়িতে ফিরেছিল, তারা আবার তড়িঘড়ি করে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক দিন যাবৎ গাইবান্ধায় তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে, যার কারণে নিচু এলাকায় যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। গৃহপালিত পশুপাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছে চরাঞ্চলবাসী।

গত এক সপ্তাহ ধরে বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চণ্ডীপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের চরাঞ্চলের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ায় অনেক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে ভাঙনের তীব্রতা অনেকটা বেড়ে গেছে। হরিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নের কিছু কিছু এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।

গত শনিবার (৬ জুলাই) থেকে অব্যাহত বৃষ্টিতে ডুবে গেছে বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় অনেক পরিবার তাদের গৃহপালিত পশুপাখি, ধান, চাল, আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। হরিপুর ইউপির চেয়ারম্যান নাফিউল ইসলাম জিমি জানান, তার ইউনিয়নের ৮টি ওয়ার্ড পানিবন্দী হয়ে পড়েছে এবং দুটি গ্রামে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, এখনো পানিবন্দী পরিবারগুলো চরেই বসবাস করছে। পানি বেড়ে গেলে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হবে।

শ্রীপুর ইউপির চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, উত্তর ও দক্ষিণ শ্রীপুর নিচু এলাকা হওয়ার কারণে এবং টানা বৃষ্টিতে এই এলাকায় বন্যার আশঙ্কা প্রবল। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে পানি বৃদ্ধির বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী জানান, পানি আবারও বাড়ছে। চরবাসীকে বন্যা পূর্ববর্তী প্রস্তুত থাকার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোকলেসুর রহমান বলেন, টানা বৃষ্টিতে গাইবান্ধার সব নদীতেই পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ১২–১৬ জুলাই পর্যন্ত প্রবলভাবে বৃষ্টি হলে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। তবে বন্যার পূর্বপ্রস্তুতি যথেষ্ট রয়েছে বলে তিনি জানান।

এনআই

আরও পড়ুন