• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০১৯, ০৭:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৩, ২০১৯, ০৭:৪৫ পিএম

 পানি প্রবেশ করছে ‘বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্টে’

 পানি প্রবেশ করছে ‘বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্টে’
বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্টে বন্যার পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে -ছবি : জাগরণ

হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর পানি কমতে শুরু করলেও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে পানি পাওয়ার বাঁধ উপচে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ গ্যাস ক্ষেত্র ‘বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্টে’ প্রবেশ করছে। পানি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। 

শনিবার (১৩ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে কুশিয়ারা নদীর পানি হবিগঞ্জ অংশে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। 

জানা যায়, ‘বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্ট’ এ পানি প্রবেশ করায় এরইমধ্যে অনেক যন্ত্রাংশ পানিতে ডুবতে শুরু করেছে। তবে এতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো ধরণের ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা নেই বলে দাবি পাওয়ার প্লান্ট কর্মকর্তাদের। যদি বন্যার কারণে বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্টে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকে তাহলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্টের (বিপিডিবি) ইঞ্জিনিয়ার সজল বলেন, পাওয়ার প্লান্টের ভেতরে একটু একটু করে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। এতে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। তবে মূল উৎপাদন কেন্দ্রে পানি উঠার সম্ভাবনা নেই। কারণ মূল উৎপাদন কেন্দ্রটি পাওয়ার প্লান্টের ভূমি থেকে অনেক উপরে।

তিনি বলেন, মূল উৎপাদক কেন্দ্রটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সমতল। সুতরাং মহাসড়ক ডুবলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হবে। অন্যথায় সাময়িক সমস্যা হবে, কিন্তু উৎপাদন অব্যাহত থাকবে। এদিকে, ঝুঁকিপূর্ণ কুশিয়ারা ডাইকইয়ে ভাঙন ঠেকাতে ও পানি প্রবেশ বন্ধ করতে বালির বস্তা ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাওহীদুল ইসলাম বলেন, কুশিয়ারা নদীর পানি বর্তমানে বিপদসীমার ৪৭ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ কুশিয়ারা ডাইক মেরামতের জন্য আমাদের লোকজন কাজ করছে। ভাঙন রোধে সেখানে বস্তা ফেলা কাজ চলছে।

একেএস
 

আরও পড়ুন