টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মো. হোছন (৩৯) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি তিনি মাদক ব্যবসায়ী। শুক্রবার দিবাগত রাতে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী পশ্চিম সাতঘরিয়াপাড়া শিয়াল্যঘোনা পাহাড়ের পাদদেশে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ২ হাজার ইয়াবা, দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র, ৯ রাউন্ড তাজা কর্তুজ ও ১২ রাউন্ড খোসা উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে পুলিশের ৩ সদস্য আহত হন।

নিহত ব্যক্তি ওই এলাকার মৃত আনু মিয়ার ছেলে।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দায়িত্বরত হোয়াইক্যং ফাঁড়ি পুলিশের এএসআই অহিদ উল্লাহ শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সাতঘরিয়াপাড়াস্থ গ্রাম পুলিশ নুরুল কবিরের বাড়ির সামনে থেকে একাধিক মামলার আসামি হোছেনকে গ্রেপ্তার করে। থানায় নিয়ে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সাতঘরিয়াপাড়া এলাকার শিয়াল্যঘোন পাহাড়ের পাদদেশে ইয়াবার একটি বড় চালান মজুদ রয়েছে। পাশাপাশি এই স্থান থেকে বেশির ভাগ ইয়াবার লেনদেন করে আসছিল। এই সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ওই এলাকায় অভিযানে গেলে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে। এতে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ি এএসআই অহিদ উল্লাহ, কনস্টেবল সজীব সরকার ও মুনির হোসেন আহত হয়। এসময় জান মাল রক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। বেশ কিছু সময় গুলি বিনিময় হওয়ায় অস্ত্রধারীরা পিছু হটে। এতে ঘটনাস্থল তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র ও ইয়াবার সাথে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হোসেনকে পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক তাকে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

টেকনাফ থানার ওসি সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা রয়েছে। তিনি তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

কেএসটি