• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০১৯, ০৭:২১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২২, ২০১৯, ০৭:২১ পিএম

মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ সুরাইয়া ৪ বছরেও হাঁটতে শেখেনি 

মাতৃগর্ভে গুলিবিদ্ধ সুরাইয়া ৪ বছরেও হাঁটতে শেখেনি 

মাগুরার বহুল আলোচিত মায়ের পেটে গুলিবিদ্ধ শিশু সুরাইয়ার ৪র্থ জন্মদিন মঙ্গলবার (২৩ জুলাই)। ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই  মায়ের পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত অবস্থায় মাগুরা সদর হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম হয় সুরাইয়ার। কিন্তু প্রিয় সন্তানের জন্মদিনে বাড়িতে এখন আর আনন্দ উৎসব হয় না। বাবার কপালে চিন্তার ছাপ। বয়স ৪ থেকে পাঁচে পড়লেও সুরাইয়া এখনও হাঁটতে শেখেনি। সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে না সে। হামাগুঁড়ি দিয়ে চলতে হয় তাকে। বাম চোখটা অন্ধ হয়ে গেছে আগেই। ডান চোখেও কম দেখতে পায়। 

সুরাইয়ার বাবা বাচ্চু ভুইয়া জানান, ২০১৫ সালের ২৩ জুলাই দুপুরে মাগুরা শহররের দোয়ারপাড় এলাকায় দুদল এলাকাবাসীর সংঘর্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয় তার স্ত্রী নাজমা বেগম। এ সময় পেটের মধ্যেই মারাত্মক আহত হয় সুরাইয়া। ওই রাতেই অপারেশনের মাধ্যমে জন্ম হয় গুলিবিদ্ধ সুরাইয়ার। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর সুরাইয়াকে নিয়ে বাড়ি ফেরে তার পরিবার। 
সুরাইয়া ঢাকায় চিকিৎসাধীন থাকার সময় তার চিকিৎসাসহ সামগ্রিক ব্যয়ভার বহনের ঘোষণা দেন তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আওয়ামী লীগের নেতা মো. নাসিম। মিডিয়ায় তিনি সুরাইয়ার সকল খরচ বহনের ঘোষণা দেন। কিন্তু সে সময় সহায়তা পেলেও পরবর্তীতে আর কেউ খোঁজ নেয়নি সুরাইয়া ও তার পরিবারের। বর্তমানে সুরাইয়াকে নিয়ে তিনি গভীর দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। তার চিকিৎসার জন্য অনেক অর্থ প্রয়োজন। কিন্তু সামান্য দোকান থেকে যা আয় হয় তাতে সংসারই চলে না। টাকার অভাবে বাচ্চাটিকে উন্নত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। 

সুরাইয়ার মা নাজমা বেগম অভিযোগ করেন, ঘটনার পর দেশ বিদেশের মিডিয়ায় ঘটনাটিকে ফলাও করে প্রচার করার ফলে তাৎক্ষণিকভাবে সরকারের লোকজন বারবার তাদের কাছে এসেছেন। কিন্তু শিশুটির দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার ব্যবস্থা কেউ নেননি। অন্যদিকে, এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার সব আসামি জামিনে মুক্ত থাকায় মামলাটি ধীরগতিতে চলছে। মামলাটি চালাতে গিয়েও তারা উকিলের ফি দিতে দিতে আরও বেশি অর্থনৈতিক সংকটে পড়ছেন।   

এ ব্যাপারে মাগুরা সদর হাসপাতালের সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. শফিউর রহমান জানান, শিশু সুরাইয়ার চিকিৎসা মাগুরায় চলছে। কিন্তু তার যে মানের চিকিৎসা দরকার সে মানের চিকিৎসা মাগুরায় দেয়া সম্ভব না। সে কারণে তাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দিলে সে হয়তো হাঁটা শিখতে পারে।
    
কেএসটি

আরও পড়ুন