• ঢাকা
  • বুধবার, ০১ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০১৯, ০১:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৯, ২০১৯, ০১:৪৫ পিএম

রাজধানীর মমিনবাগে বাবা হত্যায় ভাইবোন গ্রেফতার

রাজধানীর মমিনবাগে বাবা হত্যায় ভাইবোন গ্রেফতার


পারিবারিক কলহের জের ধরে দুই সন্তান তার বৃদ্ধ বাবাকে হত্যা করেছে। নিহত বৃদ্ধ মহিবুল্লাহর ২ সন্তান শামীম ও প্রীতি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ১৬১ ধারায় হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আজ সোমবার দুপুরে তারা এই স্বীকারোক্তি দেয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শামীম ও প্রীতির বাবা মহিবুল্লাহ তাদের মাকে নির্যাতন করছিলেন। গত শনিবার মধ্যরাতে মহিবুল্লাহ তার স্ত্রী ও সন্তানদের গালমন্দ করেন। একপর্যায়ে দুই ছেলেমেয়ে তার মাথায় মগ দিয়ে আঘাত করলে তিনি মারা যান। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে খাটের কোণে ফেলে রাখেন। এ ঘটনায় পুলিশ দুই সন্তান শামীম হাসান ও মহসিনা আফরোজ প্রীতিকে গ্রেফতার করেছে। বাবাকে হত্যার পর তারা ঘটনাটিকে ডাকাতির ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।

পুলিশ জানায়, গত শনিবার মধ্যরাতে বাসায় ডাকাত ঢুকে সবাইকে হাত-পা বেঁধে মহিবুল্লাহকে হত্যার পর মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।

পুলিশ জানায়, ঘটনার পর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। একপর্যায়ে ছেলে-মেয়ের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা দেখা দিলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এমনকি বাবার লাশ বাসায় রেখে ছেলে পরীক্ষায় অংশ নিতে চলে যান। এতে পুলিশের আরো বেশি সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে পারিবারিক কলহের জের ধরে বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন দুই সন্তান। গ্রেফতারকৃত দুই ভাইবোনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঠিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। 

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহতের মেয়ে মহসিনা আফরোজ প্রীতি কবি নজরুল কলেজের মাস্টার্সের ও ছেলে শামীম ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ফাইনাল সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। 

ষাটোর্ধ্ব মহিবুল্লাহ যাত্রাবাড়ীর মমিনবাগ এলাকার এ/সি-৩৬ নম্বরের নিজ বাড়ির নিচতলায় থাকতেন। তার সঙ্গে স্ত্রী হাসিনা ফেরদৌস ও গ্রেফতার দুই সন্তান থাকতেন। এছাড়া আরেক মেয়ে হাসনা হেনার বিয়ে হওয়ায় তিনি শ্বশুর বাড়িতে থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুরে।

এইচএম/আরআই

আরও পড়ুন