• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০১৯, ১১:০৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২, ২০১৯, ১১:০৮ এএম

৮ মাসেও শেষ হয়নি নবীগঞ্জ-রুদ্রগ্রাম সড়কের সংস্কার কাজ 

৮ মাসেও শেষ হয়নি নবীগঞ্জ-রুদ্রগ্রাম সড়কের সংস্কার কাজ 

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বহুল প্রতীক্ষিত নবীগঞ্জ-রুদ্রগ্রাম সড়কের মেরামতে কাজ শুরু হলেও দীর্ঘ ৮ মাসে শেষ হয়নি সংস্কার কাজ। কাজ সম্পন্ন করার তারিখও ইতোমধ্যে অতিক্রম হয়ে গেছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে জনসাধারণকে। এলজিইডির কার্যালয় থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একাধিক বার চিঠি দিলেও চিঠির কোনো জবাব পায়নি এলজিইডি অফিস। এদিকে চিঠি দেয়ার পরও বহাল তবিয়তে ধীরে-ধীরে মনগড়া কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের।

সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন নবীগঞ্জ-রুদ্রগ্রাম সড়ক দিয়ে কয়েক শতাধিক সিএনজি (অটোরিকশা), মিনিবাস, টমটমসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। এই রাস্তা দিয়ে পাহাড়ি অঞ্চল খ্যাত দিনারপুর পরগণার দেবপাড়া, গজনাইপুর, পানিউমদা ও বাউসা ইউনিয়নের প্রায় শতাধিক গ্রামের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণ নবীগঞ্জ শহরের যাতায়াত করে থাকেন। বিগত কয়েক বছর ধরে নবীগঞ্জ-রুদ্রগ্রাম সড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটার জুড়ে রাস্তার কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এর ফলে যানবাহন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে এই ব্যস্ততম সড়ক। কিন্তু থেমে থাকেনি লোকজনের চলাচল। বাউসা ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম থেকে বের হয়ে উপজেলা সদরে যাওয়ার এই সড়কই একমাত্র মাধ্যম হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন এসব এলাকার শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। 

২০১৮ সালের শেষের দিকে নবীগঞ্জ-রুদ্রগ্রাম সড়কের প্রায় সাড়ে ১০ কিলোমিটার অংশ জুড়ে ৮ কোটি ৫১ লক্ষ টাকার সংস্কার কাজের টেন্ডার হয়। পরে কাজটি পায় হবিগঞ্জের ঠিকাদার মিজানুর রহমান শামীমের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস হাসান বিল্ডার্স। কাজটি ওয়ার্ক ওয়ার্ডারের পর গত ৩০ নভেম্বর ২০১৮ থেকে এ সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করে ঠিকাদরি প্রতিষ্ঠান মের্সাস হাসান বির্ল্ডাস। কাজের শুরু থেকেই ধীরে ধীরে এ রাস্তার কাজ করে আসছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। কাজ সম্পন্ন করার শেষ তারিখ ছিল (৩০ জুলাই-২০১৯)। কাজ শেষ করার তারিখ অতিক্রম হলেও এখন পর্যন্ত কাজ শেষ করতে পারেনি এ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। 

দীর্ঘ ৮ মাসেও কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় সাধারণ মানুষের মনে দেখা দিয়েছে নান প্রশ্ন চলেছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়! চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে এ এলাকার যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষদের। কাজ শেষ করার জন্য নবীগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির কার্যালয় থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে একাধিক বার চিঠি দিলেও চিঠির কোনো জবাব পায়নি এলজিইডি অফিস। এদিকে চিঠি দেয়ার পরও বহাল তবিয়তে ধীরে-ধীরে মনগড়া কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমন অভিযোগ ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষের।

পূজা রাণী দেব নামে এক শিক্ষার্থী জানান, রাস্তার কাজ দীর্ঘদিন ধরে চলছে। কিন্তু শেষ হচ্ছেনা এর ফলে সিএনজিতে করে যাতায়াত করতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। দ্রুত এ রাস্তার কাজ সম্পন্ন করে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে আমি আশাবাদী।

বাউসা যুব সংঘের সভাপতি আলী হাছান লিটন নামে এক ভুক্তভোগী জানান, আগের রাস্তার কার্পেটিং তুলে আবার এ রাস্তায় ফেলা হয়েছে, এর ফলে সিএনজিতে করে যাতায়াতকালে অনেক কষ্ট করতে হয়। রাতে শরীরে প্রচন্ড ব্যাথা করে। 

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো. আবু জাকির সেকেন্দার বলেন, আমরা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে চাপ দিচ্ছি যাতে দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করে। আশা করি দ্রুত কাজ সম্পন্ন হবে ।
 
টিএফ

আরও পড়ুন