• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০১৯, ০৬:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২, ২০১৯, ০৬:৪৪ পিএম

ঠাকুরগাঁওয়ে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০

ঠাকুরগাঁওয়ে দুই বাসের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০
দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে নিহত ৫ জনের মরদেহ  -  ছবি : জাগরণ

ঠাকুরগাঁওয়ে নৈশ কোচ ও মিনিবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মিনিবাস চালকসহ নিহতের সংখ্যা ১০ জনে দাঁড়াল। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২৫ জন। ঘটনার পর ঠাকুরগাঁও-ঢাকা মহাসড়কে ৩ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ সড়কের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করে।

শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে ঠাকুরগাঁও-ঢাকা মহাসড়কের খোঁচাবাড়ি বলাকা উদ্যান এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ডিপজল এন্টারপ্রাইজ ও বালিয়াডাঙ্গী থেকে দিনাজপুরগামী যাত্রীবাহী নিশাত এন্টারপ্রাইজের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে মিনিবাসের চালক চায়না (৩৫) সহ ৫ জন,  ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর ২ জন ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরো ২ জন মারা যান।

তাৎক্ষণিকভাবে পরিচয় জানা না গেলেও পরে পরিচয় পেয়ে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। নিহতরা হলেন নিশাত মিনিবাসের চালক চায়না (৩৫), ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার টাকাহারা গ্রামের মৃত আবু সাঈদের স্ত্রী কামরুন্নেছা (৫০), মধ্য বালিয়াডাঙ্গী মিস্ত্রিপাড়া গ্রামের দবিরুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫০), বিপুল চন্দ্র (৩৫), আব্দুর রহমান (৪৫), মোস্তফা কামাল (৪৫), তার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০), বীরগঞ্জ উপজেলার গলিরামের মঙ্গলী রানী (৭০), তার পুত্রবধূ মনেশ্বরের স্ত্রী জবা (৩৫) ও আব্দুল মজিদ (৩৬)। মনেশ্বর বালিয়াডাঙ্গী থানার পুলিশ কনস্টেবল। তার মা মঙ্গলী রানীকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন পুত্রবধূ জবা রানী।

আহতদের ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাদের কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিকুর রহমান দুর্ঘটনায় হতাহতের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় দুটি বাসের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে এবং মিনিবাসটির ডান পাশের পুরো অংশ ছুটে যায়।

সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা বাস দুটি উদ্ধার করেছেন। তিনি জানান, নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

দুর্ঘটনায় হতাহতদের দেখতে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম, সিভিল সার্জন আনোয়ারুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ সময় আহতদের সুচিকিৎসার সার্বিক সহায়তার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দেন তারা। জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে নিহতের পরিবারের প্রত্যেককে তাৎক্ষণিক ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা করবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।

এনআই

আরও পড়ুন