• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০১৯, ১২:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৩, ২০১৯, ১২:৩৪ পিএম

মির্জাপুরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৬৮ 

মির্জাপুরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৬৮ 

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে চিকিৎসক-শিক্ষকসহ আক্রান্ত ৬৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। কুমুদিনী হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। কুমুদিনী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ডেঙ্গু শনাক্ত করেছেন। রোগীদের মধ্যে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী এবং এক স্কুল শিক্ষক রয়েছেন। কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের আবাসিক হলের ছাত্রী ছাড়াও এলাকায় দেখা দিয়েছে ডেঙ্গু রোগের তীব্র আতংক। কুমুদিনী হাসপাতাল ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের উপচেপড়া ভিড় বেড়ে চলছে। 

শনিবার (৩ আগস্ট) বিভিন্ন এলাকা, ক্লিনিক-হাসপাতাল এবং কুমুদিনী হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা চলছে।
কুমুদিনী হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বর প্রথমে রাজধানী ঢাকায় দেখা দিলেও এখন মফস্বলে ছড়িয়ে পরেছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে শনিবার সকাল পর্যন্ত ৬৮ জন রোগী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে। কুমুদিনী হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এসব রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। 

কুমুদিনী হাসপাতালে দেখা গেছে, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশারির ভিতরে রেখে নিবির পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা সেবা চলছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও ভিতরে রোগী ও স্বজনদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।
 
কুমুদিনী হাসপাতালে কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অর্নি (২২), মৈশামুড়া বসন্ত কুমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মি. আশিষ সাহা (৪০), মির্জাপুর উপজেলার বাগজান গ্রামের রানা হোসেন (৩৪), ভাওড়া নয়াপাড়া গ্রামের রুবেল মিয়া (২৪), রাজাবাড়ি ক্যাডেট কলেজ এলাকার ইকবাল হোসেন (৩৭), যশোর জেলার শুভ মিয়া (২৩), কাউলজানি গ্রামের ফয়সাল মিয়া(২৫), দিঘুলিয়া গ্রামের জুয়েল হোসেন(৩৬), কুড়িপাড়া গ্রামের মজিবর রহমান(৫৬), লতিফা বেগম(৪৫), পরি বেগম(৫০) সহ ৬৮ জন রোগী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন। তবে চিকিৎসকরা জানান যারা ভর্তি রয়েছেন তাদের বেশীর ভাগ রোগী রাজধানী ঢাকায় থেকে আসা। 

কুমুদিনী হাসপাতালের এজিএম (অপারেশন) মি. অনিমেশ ভৌমিক লিটন বলেন, শনিবার পর্যন্ত ৬৮ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে ২২ জন রোগী বর্তমানে ভর্তি আছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে আক্রান্ত রোগী এখানে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হচ্ছেন। তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডেঙ্গু জ্বর শনাক্ত করার পর নিবির পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগীদের সঠিক ভাবে চিকিৎসা দিতে কুমুদিনী হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সগণ একযোগে কাজ করে যাচ্ছেন বলেও তারা জানিয়েছেন।

কুমুদিনী হাসপাতালের পরিচালক ডা. প্রদীপ কুমার রায় ও কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. এম এ হালিম বলেন, কুমুদিনী হাসপাতালের পক্ষ থেকে রোগীদের সেবা দেওয়ার জন জরুরিভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে হেলথ ইমাজেন্সি অপারেশন কন্টোল রুম খোলা হয়েছে। এখানে রোগী ও তাদের স্বজনরা জরুরিভাবে তাৎক্ষণিক সেবা পাচ্ছেন। 

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধের জন্য এবং সাধারণ জনসাধারণ যাতে সুচিকিৎসা পান সে জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পাশাপাশি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক তদারকির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।

কেএসটি

আরও পড়ুন