• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০১৯, ০৬:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৩, ২০১৯, ১০:০২ পিএম

কুলাউড়ায় মনুর রক্ষা বাঁধ ধসে সড়কে যান চলাচল বন্ধ

কুলাউড়ায় মনুর রক্ষা বাঁধ ধসে সড়কে যান চলাচল বন্ধ
মনুর প্রতিরক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন মৌলভীবাজার-২ আসনের সাবেক এমপি এম এম শাহীন  -  ছবি : জাগরণ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের কাউকাপন বাজারে মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার দুই দিনে ধসে গেছে। এ অবস্থায় বাজারটির মাঝামাঝি অবস্থিত বাঁধের ওপর যাওয়া উপজেলার কুনিমোড়া-তারাপাশা সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বাঁধ ধসে যাওয়ায় স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। বাঁধ ভেঙে গেলে নদীর পানি ঢুকে আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।

এদিকে বাঁধ ধসে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ থাকায় মানুষের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে। স্থানীয়দের দুরবস্থা দেখতে সেখানে যান মৌলভীবাজার-২ আসনের সাবেক এমপি ও ঠিকানা গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এম শাহীন। এ বিষয়ে তিনি সরকারের ওপরের মহলের সাথে আলোচনা করে বাঁধ মেরামতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে মানুষকে সান্ত্বনা দেন।

মনু নদীর ধসে যাওয়া প্রতিরক্ষা বাঁধের একাংশ  -  ছবি : জাগরণ

এলাকাবাসী ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, কাউকাপন বাজারটি অনেক পুরনো। ঐতিহ্যবাহী এই বাজার এলাকায় বাঁধের দুই পাশে বিভিন্ন ধরনের অসংখ্য দোকান রয়েছে। কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে এই এলাকায় মনু নদীর ভাঙন চলছে। বাজারের বেশ কটি দোকান নদীতে তলিয়ে গেছে। সম্প্রতি বাজার এলাকায় প্রায় ১৮০ মিটারে ভাঙন চলছে। পরে পাউবো সেখানে মেরামতের কাজ শুরু করে। এ অবস্থায় গত বুধবার (৩১ জুলাই) বিকাল থেকে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত ভাঙনকবলিত স্থানের প্রায় ৫০ মিটার জায়গা নদীতে ধসে যায়।

এ বিষয়ে হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত বাচ্চু বলেন, বাঁধ ধসে যাওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ কুনিমোড়া-তারাপাশা সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। সড়কের তিন ভাগের দুই ভাগ নদীতে ধসে পড়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত পড়েছে। আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল সরিয়ে নিয়েছেন। বাঁধ ভেঙে গেলে হাজীপুরসহ পাশের রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে যাবে। মানুষ খুব আতঙ্কে বসবাস করছে।

কাউকাপন বাজারে বাঁধ মেরামতকাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা পাউবোর মৌলভীবাজার কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল কাদের বলেন, ক্রমাগত সেখানে বাঁধ ধসে যাচ্ছে। গত দুই দিনে ভাঙনকবলিত ১৮০ মিটারের মধ্যে ৬০ মিটার ধসে গেছে। ভাঙন দেখা যাওয়ার পর সেখানে ২ হাজার ৩০০টি বালুভর্তি বস্তা ফেলা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না।

এনআই

আরও পড়ুন