• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০১৯, ০৯:০৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩১, ২০১৯, ০৯:০৮ এএম

নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই ১০ হাজার মানুষের ভরসা

নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই ১০ হাজার মানুষের ভরসা

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় গোগালিছড়া নদীতে বাঁশ-বেত দিয়ে সাঁকো তৈরি করে স্থানীয় লোকজন যাতায়াত করছেন। এ সাঁকোটির বর্তমান অবস্থা একেবারে নড়বড়ে। কিছুদিন আগে নদী দিয়ে পাহাড়ি ঢল নেমে অধিকাংশ বাঁশের খুঁটি ভেঙে সাঁকোটি এক পাশে কাত হয়ে গেছে।

উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের মিঠুপুর-আবুতালিপুর সংযোগ সড়কের এই নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে বাঁশ ধরে ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়গামী শিশুসহ আশপাশের বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পার হতে দেখা যায়। পাঁজোকোল করে একজন বৃদ্ধ রোগীকে নিয়ে ভয়ে ভয়ে সাঁকো পার হচ্ছেন তার স্বজন।

বয়সের ভারে ন্যূব্জ ষাটোর্ধ্ব মো. বশির মিয়া বলেন, দেশ স্বাধীনের পূর্ব থেকে এই সাঁকো দিয়ে চার/পাঁচ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। স্বাধীনতার পর থেকে এখানে একটা সেতুর জন্য সময়ে সময়ে বিভিন্ন এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন করেছি। যদিও সকলেই আশ্বাস দেন কিন্তু পরবর্তীতে তা ভুলে যান। আবার যখন ভোট কিংবা তাদের প্রয়োজনে আমাদের কাছে আসেন আবার দেন প্রতিশ্রুতি। এভাবেই এখানকার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন (সেতু), স্বপ্নই থেকে যায়।

আবুতালিপুর, রামপাশা, মিঠুপুর ও বেগমানপুর গ্রামের স্থানীয়রা জানান, এই এলাকার ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে গোগালিছড়া নদীর উপর নির্মিত ওই সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়। এলাকার মানুষ নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে স্বাধীনতার পর থেকে। এ অবস্থায় তারা দুর্ভোগ শিকার হয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়েই নদী পার হচ্ছেন।
 
দিলদারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুপিয়া বেগম ও রহমত মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুতৃষ্ণা রানী সরকার জানান, বর্ষা এবং বন্যার সময়টাতে প্রতিবারই এমন সমস্যায় পড়ে শিক্ষার্থীরা। এখানে একটি সেতু খুবই জরুরি। বন্যার পানি এবং সাঁকো ভাঙ্গার ফলে নদীর দক্ষিণ পাড়ের দু’টি গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারে না। এই সময় তারা লেখাপড়ায় অনেকটা পিছিয়ে পড়ে।

জয়চন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কমর উদ্দিন আহমদ জানান, গোগালিছড়া নদীতে সেতু নির্মাণের দাবিটি উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় একাধিকবার তুলে ধরেছি। কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না।

কেএসটি

আরও পড়ুন