• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০১৯, ০৭:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৩, ২০১৯, ০৭:২৪ পিএম

স্কুল চলাকালে মশার ওষুধ স্প্রে, ১২ শিক্ষার্থী অসুস্থ

স্কুল চলাকালে মশার ওষুধ স্প্রে, ১২ শিক্ষার্থী অসুস্থ
অসুস্থ হয়ে পড়া এক ছাত্রীকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে  -  ছবি : জাগরণ

মৌলভীবাজার পৌর শহরের দি ফ্লাওয়ার্স কেজি অ্যান্ড হাইস্কুলে মশা নিধনের ওষুধ স্প্রে করার পর একই স্কুলের ১২ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়েছে। অসুস্থ সবাই মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।

শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বলছেন, স্কুল কর্তৃপক্ষের অসচেতনতা ও উদাসীনতার কারণে এমনটি হয়েছে।

শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, দুপুরে দি ফ্লাওয়ার্স কেজি অ্যান্ড হাইস্কুলে ক্লাস চলছিল। ওই সময় স্কুলে পৌরসভার পক্ষ থেকে মশার ওষুধ স্প্রে করা হয়। এরপর কিছু ছাত্রছাত্রী অসুস্থ হয়। পরে অসুস্থদের মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়া হয়।

অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলো একই স্কুলের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী এমি, সানন্দ দত্ত, ইসমা, রিমা, মৌসুমি দত্ত; ৮ম শ্রেণির ছাত্র রিয়া দত্ত, তনিমা জান্নাত, শাহরিয়ার সাদি, প্রজ্ঞা চৌধুরী, সুমাইয়া, সৈয়দা ফাহিমা ও ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সৈয়দা লাবিবা আহমদ।

অসুস্থ এমির মামা মন্নান আহমদ বলেন, ‘আমরা চাই মশক নিধন হোক, কিন্তু আমাদের সন্তানদের ক্ষতি করে নয়। স্কুলে ছাত্রীদের পাঠিয়েছি লেখাপড়া করার জন্য। কিন্তু তারা যদি স্কুলে গিয়ে অসুস্থ হয়, তাহলে এর দায়ভার কে নেবে?’ অভিভাবক সৈয়দ রাশেদ আহমদ ও মনজু দত্ত বলেন, ক্লাস চলাকালে ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়ায় অভিভাবকরা আতঙ্কিত। পৌর কর্তৃপক্ষ চাইলে অভিভাবকদের সাথে সমন্বয় করে ওষুধ স্প্রে করতে পারত।

দি ফ্লাওয়ার্স কেজি অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, ‘স্প্রে করার কিছুক্ষণ পরই শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। আমরা তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসি।’ প্রধান শিক্ষক ধারণা করছেন, শিক্ষার্থীরা ভয়ে অসুস্থ হতে পারে। কতজন অসুস্থ হয়েছেন এমন প্রশ্নে শিক্ষকরা বলেন, বেশি নয়, ৪-৫ জন। তবে একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে ২০-২৫ অসুস্থ হয়েছে।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রত্মদ্বীপ বিশ্বাস বলেন, কারো আগে থেকে শ্বাসকষ্ট থাকলে এ রকম সমস্যা হতে পারে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের কেউ শ্বাসকষ্ট আক্রান্ত নেই। এ পর্যন্ত ১১ জন শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি আছে। বাকিরা বাড়িতে ফিরেছে।

হাসপাতালে অবস্থানরত একজন অভিভাবক বলেন, প্রাথমিকভাবে অনেক শিক্ষার্থীকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। শারীরিক অবস্থা স্বাভাবিক না হওয়ায় ওই শিক্ষার্থীরা বিকেলে এসে আবার হাসপাতালে ভর্তি হয়।

এনআই

আরও পড়ুন