ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে শুক্রবার (৯ আগস্ট) সকালে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারী-শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন নাটোরের আটদিঘা এলাকার বাসিন্দা নৌবাহিনী ঢাকা সদর দপ্তরে কর্মরত করপোরাল নাজমুল হোসেন (২৭), পার্শ্ববর্তী বাসাইল উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের শামীম আল মামুনের মেয়ে সামিয়া আক্তার (১০) এবং মির্জাপুর উপজেলার হারিয়া গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ছবুর মিয়ার স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৬০)।

সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে মোটরসাইকেলযোগে ঢাকা থেকে নাটোরে যাচ্ছিলেন নাজমুল ও তার সহকর্মী করপোরাল জাহাঙ্গীর হোসেন। মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই এলাকায় আসার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে নাজমুল মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান। এ সময় পেছন থেকে একটি ট্রাক নাজমুলকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এছাড়া সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নানার বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার মুশুরিয়াঘোনা থেকে চাচা শাহিন মিয়ার সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে বাড়িতে যাচ্ছিল সামিয়া আক্তার। কদিমধল্যা বাসস্ট্যান্ডে পেছন থেকে একটি বাস মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই সামিয়া মারা যায়। গুরুতর অবস্থায় আহত তার চাচা শাহিন মিয়াকে মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অপর দুর্ঘটনাটি ঘটে মহাসড়কের কালিয়াকৈর এলাকায়। সকাল ১০টার দিকে ছেলে সাদত হোসেন সোহাগের সঙ্গে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন সুফিয়া বেগম। কালিয়াকৈর উপজেলার শিলাবৃষ্টি পেট্রোলপাম্প পার হয়ে সুফিয়া বেগম মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। এ সময় উত্তরাঞ্চলগামী একটি বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই সুফিয়া বেগম মারা যান। আহত সাদত হোসেন সোহাগ সুস্থ আছেন।

মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাইজুল ইসলাম জানান, করপোরাল নাজমুল হোসেনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে অন্য নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এনআই