• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০১৯, ০৭:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৬, ২০১৯, ০৭:৫৫ পিএম

ছেড়ে আসা ২৫ লঞ্চে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী

ঈদ শেষে কর্মে ফেরার যুদ্ধ

ঈদ শেষে কর্মে ফেরার যুদ্ধ
বরিশাল নৌবন্দরে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়  -  ছবি : জাগরণ

স্বজনদের সাথে ঈদ আনন্দ শেষে চলছে কর্মস্থলে ফেরার যুদ্ধ। ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকেই এই যুদ্ধ শুরু হয়। তবে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ঈদের পঞ্চম দিনে বরিশাল থেকে রাজধানীমুখী যাত্রীদের ভিড় ছিল সবচেয়ে বেশি। সড়ক ও নৌপথ দুটিতেই যাত্রীদের ভিড়ে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।

বিশেষ করে শুক্রবার বরিশাল নৌবন্দরে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় ছিল সর্বোচ্চ। এর ফলে বিগত দিনের তুলনায় বিশেষ সার্ভিসে বাড়ানো হয় লঞ্চের সংখ্যাও। সর্বোচ্চ ২৫টি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। প্রতিটি লঞ্চই ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকেই নৌবন্দরে রাজধানীমুখী যাত্রীদের পদচারণ বেড়ে যায়, যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। ঈদের দ্বিতীয় দিন ৭টি, তৃতীয় দিন ৯টি ও চতুর্থ দিন ১২টি লঞ্চ বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে।

দীর্ঘ ছুটি শেষে শুক্রবার বরিশাল নদীবন্দরে যাত্রীদের ভিড় গত কয়েক দিনের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়ে যায়। শুক্রবার সকাল থেকেই নদীবন্দরে যাত্রীদের পদচারণ শুরু হয়। একপর্যায়ে যাত্রীদের ভিড় বন্দর ভবন ও যাত্রীছাউনি ছাপিয়ে পন্টুনও ছেয়ে যায়।

এজন্য বিগত দিনের তুলনায় সরকারি ও বেসরকারি নৌযানের সংখ্যাও কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। এর মধ্যে দুপুরে দিবা সার্ভিসের তিনটি ওয়াটার বাস ছেড়ে যায়। তিনটি ওয়াটার বাসেই অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হয়। আসন না পেয়ে প্লাস্টিকের চেয়ারে যাত্রীদের বসার ব্যবস্থা করা হয়। বিকালে ছেড়ে যায় বিআইডব্লিউটিসির একটি স্টিমার। এছাড়া ভায়া রুটের আরো ৪টি লঞ্চ বরিশাল হয়ে ঢাকায় যায়।

বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক এবং বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, শুক্রবার যাত্রীদের ভিড় তুলনামূলক বেশি ছিল। এর কারণ ঈদ এবং শোক দিবসের ছুটি শেষ হয়েছে। যারা ঢাকায় চাকরি করেন, তাদের শনি ও রোববার অফিস করতে হবে। এ জন্যই শুক্রবার রেকর্ড সংখ্যক যাত্রী বরিশাল ত্যাগ করেছে।

তিনি বলেন, শুক্রবার সর্বোচ্চ যাত্রী থাকায় বরিশাল থেকে সরাসরি ১৭টি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এছাড়া ভায়া রুটের আরো ৪টি লঞ্চ বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে যায়। যদিও তাদের বেশিক্ষণ ঘাটে অবস্থান করতে দেয়া হয়নি। দিবা সার্ভিসে তিনটি এবং বরিশাল নদীবন্দর থেকে ভায়া চাঁদপুর হয়ে আরো একটি লঞ্চ ছেড়ে যায়। আর রাষ্ট্রীয় নৌযান সংস্থার একটি স্টিমার ছেড়ে গেছে।এর পরও কিছু যাত্রী নদীবন্দরে থেকে যায়। তাদের বিকল্প ব্যবস্থায় ঢাকার পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে বরিশাল সদর নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিগত দিনের তুলনায় শুক্রবার যাত্রীদের চাপ ছিল সর্বোচ্চ। যে কারণে লঞ্চগুলো ওভারলোড হওয়ায় সন্ধ্যা ৭টার পর থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে ঘাট ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। তাছাড়া অনেক যাত্রী লঞ্চে উঠতে না পারায় তাদের নদীবন্দরে থেকে যেতে হয়েছে। তাদের বিকল্প ব্যবস্থায় ঢাকায় পাঠানোর চেষ্টা চলছে।

এনআই

আরও পড়ুন