সাভারের আশুলিয়ায় স্বামীকে আটকে রেখে এক উপজাতি (মারমা) নারীকে দল বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে রনি (২১) নামের এক বখাটেকে আটক করেছে আশুলিয়া থানার পুলিশ।
রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে আশুলিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার ডেন্ডাবর মহল্লার ভাড়া বাড়ি থেকে ওই অভিযুক্ত যুবককে আটক করে পুলিশ।
আটককৃত রনি পাবনা জেলার আটঘরিয়া থানার পাইকপাড়া গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পলাতক আরো দুই ব্যক্তি হলোসাভারের আশুলিয়ার ডেন্ডাবর নতুনপাড়া এলাকার স্থায়ীয় খোরশেদ আলম খোকনের ছেলে জয় (২২) এবং ফরিদপুর জেলার শামীমের (২৬) নাম জানা যায়।
পুলিশ জানায়, আশুলিয়ার ডেন্ডাবর নতুনপাড়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন ওই দম্পতি। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) রাতে হঠাৎ অভিযুক্ত ওই তিন ব্যক্তি দম্পতির বাসায় প্রবেশ করে। পরে ওই দম্পতিকে মদ তৈরি করে এমন অভিযোগ তুলে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় ওই দম্পতি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পাশের কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দল বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় তারা।
পরে শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে ওই দম্পতি আশুলিয়া থানায় তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। এরপর আশুলিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ধর্ষিতা ওই নারীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠায় এবং ঘটনার সাথে জড়িত এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রেজাউল করিম দিপু জানান, দল বেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় রনি নামের অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাকি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এনআই