বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের এক ছাত্রকে অপহরণের পরে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরের দিকে নগরীর নিউ কলেজ রোড এলাকা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
এ ঘটনায় অপহৃত আবু সুফিয়ান ইমুর বাবা জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন (যার নং-১৪৭১)।
অপহৃত ইমু বিএম কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। তিনি কলেজের অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের ৩০৯ নং কক্ষে থাকতেন। ইমু পটুয়াখালীর গলাচিপা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের টিঅ্যান্ডটি রোডের বাসিন্দা জসিম উদ্দিনের ছেলে।
ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে আবু সুফিয়ান ইমুর বন্ধু জুবায়ের মাহমুদ ফোন করে ইমুর বাবাকে জানায়, দুটি মোটরসাইকেলে আসা অজ্ঞাতনামা তিনজন লোক বিএম কলেজের পেছনের গেট থেকে ইমুকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়।
তখন থেকেই ইমুর দুটি ফোন নম্বরে কল করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে মাঝেমধ্যে অন থাকে। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফলে সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
জসিম উদ্দিন জানান, অপহরণের পর ইমুর মোবাইল নম্বর থেকে ছেলের মুক্তিপণ বাবদ ১৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়। ওই টাকা পেলে যেখান থেকে তাকে তুলে নেয়া হয়েছে, সেখানেই ফেলে যাওয়ার আশ্বাস দেয় অপহরণকারীরা।
এ জন্য শুক্রবার সকালে অপহরণকারীদের দেয়া একটি বিকাশ নম্বরে ১৫ হাজার টাকা পাঠান জসিম উদ্দিন। কিন্তু এর পরও ছেলের কোনো সন্ধান না পেয়ে সকাল ১০টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি ডায়েরি করেন।
ইমুর বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি একজন গরিব এবং অসহায় মানুষ। খুব কষ্ট করে সংসার চালাচ্ছি এবং দুই ছেলেমেয়েকে পড়ালেখা করাচ্ছি। আমি কোনো আইনি ঝামেলায় যেতে চাই না। আমি শুধু আমার ছেলেকে ফেরত চাই।’
বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, ডায়েরির সূত্র ধরে অপহৃত কলেজছাত্রকে উদ্ধারে এরই মধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। খুব দ্রুতই তাকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এনআই