• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০১৯, ০৫:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২৪, ২০১৯, ০৫:৪৮ পিএম

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ

প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণ

বরিশালের মুলাদীতে প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া আয়শা আক্তার নামের এক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গেছে বখাটেরা। প্রাইভেট শেষে বাড়ি ফেরার পথে দুটি মোটরসাইকেলে করে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় আয়শার বন্ধবীরা বাধা দিতে গেলে তাদের মারধর করে বখাটেরা।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় মুলাদী উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের চিঠিরচর গ্রামে স্থানীয় বখাটে হাসান ঘরামী ওরফে হাসু সহযোগীদের নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। অপহৃত আয়শা ওই গ্রামের জামাল হাওলাদারের মেয়ে এবং চিঠিরচর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

অভিযুক্ত অপহরণকারী হাসান ঘরামী একই এলাকার শাহানাজ ঘরামীর ছেলে। শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আয়শাকে খুঁজে পায়নি তার পরিবার। এ ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

অপহৃতের বাবা জামাল হাওলাদার জানান, বখাটে হাসু দীর্ঘদিন ধরে আয়শাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। আয়শা তার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে হাসু তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আমরা তার প্রস্তাবে রাজি হইনি।

এর জের ধরে হাসু ও তার সহযোগীরা দুটি মোটরসাইকেলযোগে আয়শাকে তুলে নিয়ে যায়। আয়শার বান্ধবীরা আমাকে বিষয়টি অবহিত করে। বিভিন্ন স্থানে খুঁজে না পেয়ে স্থানীয় চৌকিদার ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে বখাটে হাসুর অভিভাবকদের জানিয়ে মেয়েকে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানাই। কিন্তু মেয়েকে ফেরত দেয়নি।

এ ঘটনায় শনিবার সকালে ছাত্রীর বাবা জামাল হাওলাদার বাদী হয়ে বাটামারা সেলিমপুর পুলিশ ক্যাম্পে অভিযোগ দায়ের করলেও ক্যাম্প ইনচার্জ এএসআই আক্তার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাননি এবং অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধারে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সেলিমপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এএসআই আক্তার হোসেন জানান, ওই ছাত্রীর বাবাকে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য থানায় মামলা দায়েরের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

মুলাদী থানার ওসি জিয়াউল আহসান জানান, ওই ছাত্রীর বাবা অভিযোগ দেয়ার জন্য থানায় আসবেন বলে আমি জানতে পেরেছি। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করব।

এনআই

আরও পড়ুন