• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯, ১১:১১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯, ১১:১১ এএম

‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নূর নিহত

‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নূর নিহত

টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ও ওমর ফারুক হত্যার প্রধান আসামি নূর মোহাম্মদ (৩৪) নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে  ৪টি এলজি, ১টি থ্রি কোয়াটার, ১৮ রাউন্ড গুলি, ২০ রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি তদন্তসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টার দিকে নূর মোহাম্মদের দেয়া তথ্য মতে, হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা (২৭ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প) পাহাড়ে অস্ত্র উদ্ধারে গেলেই এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। 

নিহত নূর মোহাম্মদ জাদিমোরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত কালা মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, ৩১ আগস্ট সকালে ইয়াবা গডফাদার, ওমর ফারুক হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি ও আরসা বা আল ইয়াকিনের অন্যতম নেতা নুর মোহাম্মদকে আটক করা হয়। তাকে দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, তার গড়ে তোলা নিজস্ব বাহিনীর আস্তানায় বিপুল সংখ্যক অস্ত্র মজুদ রয়েছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে ওসি তদন্ত এবিএস দোহার নেতৃত্বে একদল পুলি ঘটনাস্থলে গেলে অপরাপর সন্ত্রাসীরা নুর মোহাম্মদ ছিনিয়ে নেয়ার উদ্দেশ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এতে ওসি তদন্ত, কনস্টেবল রাশেদল, অন্তর চৌধুরী আহত হলে পুলিশ জানমাল রক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। বেশ কিছু সময় গুলি বিনিময় হওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে ওই সন্ত্রাসী উগ্রপন্থী সংগঠনের স্বঘোষিত নেতা নুর মোহাম্মদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

পুলিশ আরো জানায়, ৪০/৫০ রাউন্ড গুলি ছোঁড়া হয়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসী পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে ওইসব অস্ত্রসহ নূর মোহাম্মদকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। 

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভোর ৫.৫০টায় বন্দুকযুদ্ধে সন্ত্রাসী নূর মোহাম্মদ নিহত হয়। তার বিরুদ্ধে সরকারি অস্ত্র লুট, হত্যা ও ইয়াবার মামলা রয়েছে। সম্প্রতি ২২ আগস্ট স্থানীয় যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যার প্রধান আসামি সে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর মৃতদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।

কে এই নূর মোহাম্মদ 
১৯৯২ সালে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা নূর মোহাম্মদ হ্নীলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জাদিমুরা এলাকায় প্রথমে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। ধীরে ধীরে সেখানেই জমি কিনে বাড়ির মালিক হন। প্রতিটি ক্যাম্পে স্ত্রী থাকায় তার আধিপাত্য বিস্তারের সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মোট ৪ জন স্ত্রী রয়েছে তার। রোহিঙ্গা নূর মোহাম্মদের মালিকানায় বাংলাদেশে ৪টি বাড়ি রয়েছে। তার মধ্যে একটি পাকা ভবন, একটি দু’তলা, একটি টিনের ঘর এবং অপরটি বাগান বাড়ি। 

জানা গেছে, কুখ্যাত রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার নুর মোহাম্মদ ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামের সিটি কর্পোরেশনের ঠিকানায় বাংলাদেশি স্মার্টকার্ড তৈরি করেছেন। কার্ডে নাম দিয়েছেন নূর আলম। পিতার নাম কালা মিয়া এবং মাতার নাম সরু বেগম। জন্ম তারিখ ২৫ নভেম্বর ১৯৮৩ ইংরেরি। এনআইডি নম্বর-৬০০৪৫৮৯৯৬৩। তার স্থায়ী ঠিকানা হচ্ছে পশ্চিম ষোলশহর পার্ট-২, হিলভিউ রোড, ৪২১১ পাচঁলাইশ, চট্টগ্রাম। তার আইডি কার্ড হওয়ার সংশ্লিষ্টদের প্রতি ক্ষুব্দ সচেতন মহল।

কেএসটি 

আরও পড়ুন