• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯, ১০:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯, ১০:০৩ পিএম

তিতাস নদীতে নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত

তিতাস নদীতে নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত
তিতাসে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা - ছবি : জাগরণ

আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ যখন হারিয়ে যাওয়ার পথে, ঠিক তখনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের সহায়তায় তিতাস নদীতে হয়ে গেল নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। প্রচার-প্রচারণার কোনো কমতি ছিল না। মাইকিং, পোস্টারিং, স্থানীয় ডিশ চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছিল নৌকাবাইচের অনুষ্ঠানমালা।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেলার বিভিন্ন এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জের নিকলী থেকে মোট ১২টি দল তাদের সুসজ্জিত নৌকা আর রং-বেরঙের বাহারি পোশাক পরে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে মাঝিদের ভাটিয়ালি গান আর পানিতে বইঠা ফেলার ছপছপ শব্দ যেন একাকার হয়ে গিয়েছিল তিতাস নদী। উৎসব আমেজে নৌকাবাইচ দেখতে তিতাস পাড়ে ভিড় জমায় জেলার ও আশপাশ উপজেলা এমনকি পার্শ্ববর্তী জেলার নারী-পুরুষ-শিশু বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মানুষ। নীরব, নিস্তব্ধ তিতাস পাড় হয়ে ওঠে হাজার হাজার মানুষের কোলাহলে মুখর। শহরের পূর্ব পাশে অবস্থিত তিতাস পাড়ে জমায়েত হয় নৌকাবাইচ দেখার জন্য। কেউ কেউ ছোট নৌকা ভাড়া করে পরিবার-পরিজন নিয়ে নদীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করে। সে সাথে নৌ-পুলিশ, মেডিকেল টিম এবং ফায়ার সার্ভিসের টিম প্রতিযোগিতার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে। সন্ধ্যার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে শেষ হয় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা।

বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে শহরের দক্ষিণ প্রান্তের শিমরাইলকান্দি নদীঘাট এলাকায় নৌকাবাইচের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান। এ সময় পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় তিন কিলোমিটার দূরত্বে গিয়ে মেড্ডার কালা গাজির মাজার এলাকায় শেষ হয় নৌকাবাইচ। জেলা প্রশাসন আয়োজিত এই প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এতে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খানের সভাপতিত্বে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অব.) গ্রেড-১ অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, বিজয়নগর উপজেলা চেয়ারম্যান মুকাই আলী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার।

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে প্রথম স্থান অধিকারী সরাইল উপজেলার ওসমান উল্লাহর দলকে ১৩ সেফটিক ফ্রিজ ও নগদ ২০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্থান অধিকারী নাসিরনগরের হরিপুর ইউনিয়নের দেওয়ান আতিকুর রহমান আঁখির দলকে ৪০ ইঞ্চি সনি এলইডি টিভি এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী নবীনগরের মোর্শেদুল ইসলাম লিটনের দলকে ২০ ইঞ্চি এলইডি টিভি দেয়া হয়। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও একটি ওভেন প্রদান করা হয়।

এনআই

আরও পড়ুন