পাকা দেখার কথা বলে হবু স্ত্রীকে ধর্ষণের অপরাধে নিখিল চন্দ্র শীল নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ এই দণ্ডাদেশ দেন। দণ্ডিত নিখিল চন্দ্র শীল ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার পূর্ব দপদপিয়া এলাকার লক্ষ্মী চন্দ্র শীলের ছেলে।

নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফয়জুল হক জানান, ভিকটিম রায়পাশা এলাকার বাসিন্দা। আসামি নিখিল চন্দ্র শীলের সাথে তার বিয়ের কথাবার্তা চলছিল। সেই মুহূর্তে আসামি পাকা দেখার কথা বলে ২০১৪ সালের ১১ ডিসেম্বর হবু স্ত্রীকে বরিশাল নগরীর বিবির পুকুর এলাকায় নিয়ে আসে।

সেখান থেকে কৌশলে নিখিল ভিকটিমকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে নগরীর পোর্ট রোডস্থ একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ ভাড়া নেয়। সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হবু স্ত্রীকে ধর্ষণ করে এবং বিয়ের আশ্বাস দিয়ে পরদিন হোটেল ত্যাগ করে।

তবে এর পর থেকেই নিখিল বিয়ে নিয়ে টালবাহানা শুরু করে। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ১০ জুন ভিকটিম নিখিল চন্দ্র শীলকে অভিযুক্ত করে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শামীম হোসেন ২০১৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর নিখিলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামিকে রোববার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

এনআই