• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯, ০৫:৩২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯, ০৫:৩২ পিএম

সোনারগাঁয়ে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতাল ভাঙচুর

সোনারগাঁয়ে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, হাসপাতাল ভাঙচুর

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় হাসপাতালে ভাঙচুর করেছে রোগীর স্বজনরা। সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় অবস্থিত সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। 

রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বড় সাদিপুর গ্রামের পিন্টু মিয়ার স্ত্রী আমান্তিকা (২০) প্রসব বেদনা উঠলে তাকে গত শুক্রবার সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় ওই হাসপাতালের চিকিৎসক নুর জাহান বেগম তার অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচারের পরও তার পেটের ভেতরে গজ ও টিস্যু থাকায় তার পেট ব্যথা শুরু করে। পরে বিষয়টি চিকিৎসক নুর জাহানকে জানালে রোগীকে নারায়ণগঞ্জের কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসতে বলেন। ওই হাসপাতালে গত শনিবার আবারো তার অস্ত্রোপচার করে গজ ও টিস্যু পেপার বের করেন এবং ওই সময় জরায়ুতে ক্ষত সৃষ্টি হলে রোগীর স্বজনদের অনুমতি নিয়ে জরায়ু কেটে ফেলে দেন। জরায়ু কেটে ফেলার পর রোগীর অবস্থা আরো আশংকাজনক হলে তাকে অন্য হাসপাতালের স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। পরে ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে নেওয়ার পথেই সোমবার সকালে রোগী মারা যান।  

এদিকে, ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছলে রোগীর স্বজন ও স্থানীয় এলাকাবাসীরা মোগরাপাড়া চৌরাস্তার সোনারগাঁ জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে ভাঙচুর করে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

নিহত প্রসূতি আমান্তিকার স্বামী পিন্টু মিয়া জানান, ভুল চিকিৎসার কারণেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। অস্ত্রোপচারের পরেই পেট ফুলে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় অন্য হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান। 

এ বিষয়ে চিকিৎসক নুর জাহান ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। 

সোনারগাঁ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজু মন্ডল জানান, এ ঘটনায় পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। রোগীর স্বজনরা অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হালিমা সুলতানা হক জানান, এ ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে একটি তদন্ত টিম পাঠানো হয়েছে। 

কেএসটি
 

আরও পড়ুন