• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯, ০১:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৯, ০১:৪১ পিএম

নরসিংদীতে রঙ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

নরসিংদীতে রঙ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

নরসিংদীতে ডিস ব্যবসা করার আগ্রহ প্রকাশ করায় রহুল আমিন (২২) নামের এক রঙ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে শহরের পূর্ব ব্রা‏হ্মন্দী মহল্লার জবা টেক্সটাইল এলাকার পাশে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রহুল আমিন একই মহল্লার বিল্লাল মিয়ার ছেলে। 

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, রুহুল আমিন পেশায় একজন রঙ ব্যবসায়ী। তিনি নরসিংদী বাজারে রঙের ব্যবসা করেন। সম্প্রতি রহুল আমিন স্থানীয় ডিস ব্যবসায়ী সারোয়ার হোসেনের কর্মচারী মনির হোসেন এর নিকট এলাকার ডিস ব্যবসা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এনিয়ে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে বুধবার বেলা সকাল ১১টার দিকে সারোয়ার হোসেনের ছেলে তানজিল, কর্মচারী মনির, স্থানীয় যুবক ছোটন ও হৃদয় নামের চারজন মিলে রুহুল আমিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে বাড়ির পাশে জবা টেক্সটাইল মিল সংলগ্ন একটি মাঠে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা ছুটে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে রুহুল আমিনকে গুরুতর আহত অবস্থায় নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মিজানুর রহমান তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

জেলা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. এম এন মিজানুর রহমান আরো বলেন, তার বুকে, পিঠে, পাজরেসহ প্রায় ১০/১২টি কোপের চিহ্ণ রয়েছে। এর ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

নিহতের ছোট ভাই আলামিন জানান, রুহুল আমিন ভাই এলাকায় ডিসের ২/৩ শত সংযোগের দায়িত্ব নিয়ে ব্যবসা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। এ নিয়ে কয়েকদিন আগে তানজিলদের কর্মচারী মনিরের সাথে রুহুল আমিনের কিছুটা ঝামেলা হয়েছিল। এ ঘটনার জের ধরেই তারা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান জানান, যুবককে কুপিয়ে হত্যার খবর পেয়েছি। কিন্তু কি কারণে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত নই। মামলা দায়েরের পর বলা যাবে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্যে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কেএসটি

আরও পড়ুন