• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯, ০৫:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৯, ০৫:০২ পিএম

অবশেষে ক্ষমা চাইলেন সেই ইউপি চেয়ারম্যান

অবশেষে ক্ষমা চাইলেন সেই ইউপি চেয়ারম্যান
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমাজের কাছে ক্ষমা চাইলেন চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈ  -  ছবি : জাগরণ

শিক্ষক পেটানোর অভিযোগে অভিযুক্ত গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈ অবশেষে শিক্ষক সমাজ ও ইউনিয়নবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন।

শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকালে উপজেলার কান্দি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন চত্বরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি শিক্ষক সমাজ ও ইউনিয়নবাসীর কাছে ক্ষমা চান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্য পাঠ শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।

লিখিত বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের মাচারতারা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে পেটানোর ঘটনা নিয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র হালদারের ভাই গজালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক অমূল্য রতন হালদারের সাথে ধারাবাশাইল বাজারে আমার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে অমূল্য রতন হালদার আমার চেয়ারম্যানি নিয়ে ব্যঙ্গ করেন ও আমার বাবা-মা তুলে গালি দেন। তখন আমার ভাই মনি বাড়ৈর সাথে তার সামান্য হাতাহাতি হয়। আমি তখন আমার ভাই মনিকে শান্ত করি। এই সামান্য ঘটনাটিকে আমার প্রতিপক্ষ লুফে নিয়ে শিক্ষক অমূল্য রতন হালদারের স্ত্রী মনি হালদারকে দিয়ে কোটালীপাড়া থানায় আমি ও আমার দুই ভাই এবং দুজন শিক্ষকসহ ৫ জনকে আসামি করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করায়। এই মামলায় আমরা বর্তমানে জামিনে রয়েছি। আমি এই মিথ্যা মামলার হাত থেকে বাঁচতে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

উত্তম কুমার বাড়ৈ আরো বলেন, ‘প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে মাচারতারা পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র হালদার নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম করেছেন। আমার স্ত্রী রীনা মন্ডল ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি। আমার স্ত্রী প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র হালদারের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তিনি আমাদের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে ভাইকে দিয়ে নাটক সাজিয়ে ভাইয়ের স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন।’

পরিষদের ৯ জন ইউপি সদস্যের তার ওপর অনাস্থা প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়ে চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈ বলেন, ‘এই অভিযোগগুলো নিয়ে ৬ মাস আগেও আমার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছিল। সেসব অভিযোগ তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।’

ইউপি সদস্যদের বিভিন্ন অনিয়মের কথা তুলে ধরে চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি সদস্যদের বিভিন্ন অনিয়মে বাধা দেয়ায় তারা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি এ সকল অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

শিক্ষক পেটানোর অভিযোগ উল্লেখ করে চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈ বলেন, ‘আমার ভাই মনি বাড়ৈর সাথে ধারাবাশাইল বাজারে বসে শিক্ষক অমূল্য রতন হালদারের যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে, তার জন্য আমি শিক্ষক সমাজ ও কান্দি ইউনিয়নবাসীর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’

সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান উত্তম কুমার বাড়ৈর স্ত্রী জেলা পরিষদ সদস্য রীনা মন্ডল, ইউপি সদস্য সিদ্ধার্থ বাড়ৈ, প্রভাষ বৈরাগী, মনজু হালদার, শিক্ষক ভবতোষ বাড়ৈ ও রমেন মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।

এনআই

আরও পড়ুন