• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০১৯, ০৬:১৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৪, ২০১৯, ০৬:১৫ পিএম

থানা থেকে বেরিয়ে গায়ে আগুন দেয়া কলেজছাত্রীর স্বামী গ্রেফতার

থানা থেকে বেরিয়ে গায়ে আগুন দেয়া কলেজছাত্রীর স্বামী গ্রেফতার
পুলিশের হাতে গ্রেফতার সাখাওয়াত হোসেন - ছবি : জাগরণ

থানা থেকে বেরিয়ে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যাকারী কলেজছাত্রী লিজা রহমানের স্বামী সাখাওয়াত হোসেনকে (১৮) গ্রেফতার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে রাজশাহী নগর পুলিশ।

সাখাওয়াত হোসেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার খাজুরা খান্দুরা এলাকার মাহবুবুল আলম খোকনের ছেলে। তিনি রাজশাহী সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার (সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দুস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওই ছাত্রীর বাবার দায়ের করা আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় তাকে গ্রেফতার করে নগরীর শাহমখদুম থানার পুলিশ।

বুধবার (২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে থানায় নিহতের বাবা আলম মিয়া বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাখাওয়াতকে।

এছাড়া তার বাবা মাহবুবুল আলম খোকন ও মা নাজনিন বেগমকেও আসামি করা হয়েছে। নাম ও সংখ্যা উল্লেখ না করে সাখাওয়াতের ভাই-বোন, ভগ্নিপতিসহ শ্বশুরবাড়ির আরো বেশ কয়েজনকে আসামির তালিকায় রাখা হয়েছে।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে রাজশাহীর শাহমখদুম থানা থেকে বেরিয়ে গায়ে আগুন দেন লিজা রহমান। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ওইদিন রাতে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। ৬৩ শতাংশ দগ্ধ শরীর নিয়ে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চার দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হেরে যান লিজা।

এর আগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়ার পর রাজশাহী মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এই ছাত্রী জানিয়েছিলেন, স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে থানার সামনেই আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তিনি।

গত জানুয়ারিতে প্রেম করে পরিবারের অমতে বিয়ের করেন তারা। বিয়ের পর থেকেই নগরীর গাঙপাড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করছিলেন এই তরুণ যুগল।

ওই ছাত্রীর আত্মহননে থানা পুলিশের গাফিলতি এবং পারিবারিক কলহ খতিয়ে দেখছে মানবাধিকার কমিশনের চার সদস্যের একটি কমিটি। সাত দিনের মধ্যে কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার কথা।

এনআই

আরও পড়ুন