শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে হানিফ উদ্দিন (৫০) নামে এক ইউপি সদস্যকে রোববার (১৩ অক্টোবর) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৯ অক্টোবর) হাতিবান্ধা ইউনিয়নের কবিরাজ গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শেরপুরের পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার (গত ৯ অক্টোবর) হাতিবান্ধা ইউনিয়নের কবিরাজপাড়া গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আবু সাইদের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। রাতে একই গ্রামের জমসেদ আলীর ছেলে খবির (২০), মকবুল হোসেনের ছেলে নুরুজ্জামান (২০), জয়নাল আবেদীনের ছেলে শান্ত (১৮) ও ইসমাইল হোসেনের ছেলে জিহাদ (১৮) বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে পার্শ্ববর্তী ঘাগড়া পুটলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কিশোরীকে (১২) কৌশলে ডেকে আড়ালে নিয়ে যায়। পরে তারা সংঘবদ্ধভাবে মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে পাশের ঝোপে নিয়ে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। 

ঘটনার পর দিন বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিষয়টি প্রকাশ হলে ধর্ষকদের পরিবারের লোকজন কিশোরীকে আটকে রেখে ইউপি সদস্য হানিফ উদ্দিনসহ গ্রামের অন্যান্য মাতাব্বর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ধর্ষণের আলামত নষ্টের চেষ্টা চালায়। এ খবর পেয়ে  রোববার(১৩ অক্টোবর) দুপুরে ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ ইউপি সদস্য হানিফ উদ্দিনকে আটক করে এবং ওই দিনই স্কুলছাত্রীর চাচা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। 

ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার সম্পন্ন হয়েছে। ইউপি সদস্য হানিফকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

কেএসটি