• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৮, ২০১৯, ০৫:১৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৮, ২০১৯, ০৫:১৭ পিএম

বান্দরবানে ৩ মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

বান্দরবানে ৩ মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
বান্দরবানের লামায় কৃষি বিভাগের জমি থেকে জোরপূর্বক গাছ কাটার দৃশ্য  -  ছবি : জাগরণ

বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বগাইছড়িতে কৃষি বিভাগের জমি থেকে গাছ কেটে পাচার ও জমি আত্মসাতের অভিযোগে বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ৩ মুক্তিযোদ্ধাসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, লামার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাদী হয়ে স্থানীয় তিন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার ছেলেসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত জুডিশিয়াল তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

পরোয়ানাভুক্তরা হলেন মুক্তিযোদ্ধা মো. বাজেত মিয়া (৬০), আব্দুল কাদের (৬০) ও আব্দুল মফিজ (৬১), নুরুল হক (৬০), মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মো. লোকমান (৪০), মো. আলাউদ্দিন (৩২), মো. ইসমাইল (৩৫), মো. সুলতান (৩৫), মো. সালাউদ্দিন (৩০), ইরাত মিয়া (৩২), বেলাল উদ্দিন (৩৮), মহিম উদ্দিন (৪০), আবদুছ ছাত্তার (৫০), আবু আহমদ (৩৫), মো. ইউনুছ (৫৫), মো. ইউছুপ (৪০), নুরুল ইসলাম (৪০) ও মংথুই প্রু মার্মা। তারা সবাই ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বগাইছড়ি এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বগাইছড়ি এলাকায় কৃষি বিভাগের জমি জবরদখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে আত্মসাৎ করার জন্য মুক্তিযোদ্ধা বাজেত মিয়ার নেতৃত্বে এই ১৯ অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরে পাঁয়তারা করে আসছেন এবং কৃষি বিভাগের জমিতে রোপিত ২ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে পাচার করেন। পরে কৃষি বিভাগের মহাপরিচালকের অনুমোদনক্রমে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্বাছ উদ্দিন বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিন মু্ক্তিযোদ্ধাসহ ১৯ জনকে বিবাদী করে একটি ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক আনিসুর রহমান অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার আইনজীবী মো. মামুন মিয়া বলেন, অভিযুক্তরা জোরপূর্বক কৃষি বিভাগের গাছ কেটে পাচার ও জমি আত্মসাতে লিপ্ত রয়েছেন। তাই বাদীর অভিযোগ আদালত আমলে নিয়ে জুডিশিয়াল তদন্তের মাধ্যমে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

এনআই

আরও পড়ুন