একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর একাধিকবার আকারে-ইঙ্গিতে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। এবার বরিশালে ওয়ার্কার্স পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাক্ষ্য দেয়ার ভঙ্গিতে বললেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমিও নির্বাচিত হয়েছি। তারপরও আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, ওই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। এমনকি পরবর্তীতে উপজেলা এবং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি দেশের মানুষ।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল নগরীর টাউন হলে এসব মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, উন্নয়ন মানে গণতন্ত্র হরণ নয়। উন্নয়ন মানে ভিন্ন মতের সঙ্কোচন নয়। উন্নয়ন মানে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ নয়। উন্নয়ন মানে গণতন্ত্রের স্পেস কমিয়ে দেয়া নয়। আজ উন্নয়ন হচ্ছে। এর সঙ্গে দুর্নীতির প্রতিযোগিতা, লুটপাটের মহোৎসব চলছে। এতে দেশের মানুষ উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে না।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারে উদ্দেশে মেনন বলেন, আপনি-আমি মিলে যে ভোটের জন্য লড়াই করেছি, আজিজ কমিশনকে ঘেরাও করেছি, আমরা এককোটি ১০ লাখ ভুয়া ভোটার তালিকা ছিঁড়ে ফেলে নির্বাচন বর্জন করেছি মনোনয়ন জমা দেয়ার পরও। আজকে কেন ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং জাতীয় নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারছে না?

 মেনন বলেন, ক্যাসিনো মালিকদের ধরা হচ্ছে, দুর্নীতিবাজদের ধরা হচ্ছে, কিন্তু দুর্নীতির আসল জায়গা নির্বিঘ্ন আছে। সেই দুর্নীতিবাজদের বিচার কবে হবে, তাদের সাজা কবে হবে, তাদের সম্পদ কবে বাজেয়াপ্ত হবে? 

জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি নজরুল হক নিলুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমরেড আনিছুর রহমান মল্লিক। এছাড়া বক্তব্য রাখেন জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য টিপু সুলতান, মহানগর কমিটির আহ্বায়ক শান্তি দাস, জেলার সম্পদকমণ্ডলির সদস্য বিশ্বজিৎ বাড়ৈ, ফাইজুল হক বালী ফারাইন, জেলা গণফোরাম সভাপতি হিরন কুমার দাস মিটু, সিপিবির প্রবীণ নেতা আবদুল মন্নান প্রমুখ।

এইচএস/এসএমএম