• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০১৮, ০৩:৪৯ পিএম

চট্টগ্রামে প্রার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের মতবিনিময়

চট্টগ্রামে প্রার্থীদের সঙ্গে প্রশাসনের মতবিনিময়

 

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে মেট্রোপলিটন এবং জেলা পর্যায়ের ১৬টি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় আলাদা আলাদাভাবে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে মতবিনিময় করেন বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান এবং উপজেলাভিত্তিক বিভিন্ন আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় করেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।

মতবিনিময় সভায় বিএনপি এবং ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলোর প্রার্থীরা নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তোলেন।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় বাঁশখালী আসনের প্রার্থী জাফরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, নির্বাচনি প্রচারণায় তারা সমান সুযোগ পাচ্ছেন না। তাদের কর্মী-সমর্থকদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে জীবন দেব তবুও ভোট ডাকাতি করতে দেব না। জীবন দিয়ে হলেও জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করবো।

চট্টগ্রামের প্রায় সব আসনে বিএনপি, এলডিপি, ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল, মহাজোটের অংশীদার জাতীয় পার্টির প্রার্থীরাও নির্বাচনে হয়রানির অভিযোগ তোলেন। সবার অভিযোগ পুলিশ নির্বাচনি প্রাচারণা বানচাল করতে গণগ্রেফতারে নেমেছে।

পটিয়া সংসদীয় আসনে মহাজোটের প্রার্থী শামছুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হলে আমাদের সব দলের প্রার্থীদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে হবে। নির্বাচনি ফলাফল মেনে নেয়ার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।

চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা মতবিনিময় সভায় বলেন, গায়েবি মামলা বলতে কোনো শব্দ নেই। পুলিশ অহেতুক কাউকে হয়রানি করছে না। নির্বাচনি পরিবেশ স্থিতিশীল রাখতে সবদলের প্রার্থীদের ইতিবাচক হতে হবে।

জেলা প্রশাসক মে. ইলিয়াস হোসেন বলেন, প্রশাসন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রশাসন যা করার দরকার তাই করবে।

সাইসে