• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০১৯, ১২:৩৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ৩১, ২০১৯, ০১:১৫ পিএম

যুদ্ধাপরাধ : এ যাবৎ ফাঁসিতে ঝুললো যারা

যুদ্ধাপরাধ : এ যাবৎ ফাঁসিতে ঝুললো যারা

আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় একাত্তরের যুদ্ধপরাধের রায় দেয়া। তারপর এখন পর্যন্ত ৪১টি মামলার রায় হয়েছে। এর মধ্যে ফাঁসির আসামি ৬৮ জন। 

এখন পর্যন্ত আপিলের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয় ৭টি। এর মধ্যে ৬টির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে ৬টি। যাদের ফাঁসি হয়েছে- জামায়াতে ইসলামীর দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে সাকা চৌধুরী, জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামী ও জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলী। 

সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ চূড়ান্ত রায় রিভিউতে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা আমৃত্যু কারাদণ্ড বহাল রাখে।

আপিল নিষ্পত্তির আগেই মারা যায় মুক্তিযুদ্ধকালীন জামায়াতে ইসলামীর আমির গোলাম আযম ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীম।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রথম মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লাকে। ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর তার ফাঁসির আদেশ কার্যকর করা হয়।

দ্বিতীয় অপরাধী হিসেবে ২০১৫ সালের ১১ এপ্রিল রাত ১০টা ১ মিনিটে মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানকে ফাঁসির রশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

তৃতীয় ও চতুর্থ মৃত্যুদণ্ড একইদিনে কার্যকর করা হয়। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওরফে সাকা চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর।

জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীকে ২০১৬ সালের ১১ মে রাত ১২টা ১০ মিনিটে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

সর্বশেষ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করা হয় ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কাশিমপুর কারাগারে রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে।

মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ড ভোগ করছে জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। ২০১৪ সালের ২৩ অক্টোবর কারাগারে মারা যায় ৯০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ও জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম এবং বিএনপির সাবেক নেতা আবদুল আলীম।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি হয়েছে জামায়াতের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আজহারুল ইসলামের মামলা। রায়ে তার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ। 

আপিল বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসিসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা পাওয়া বেশ কয়েক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মামলা। তারা হলেন- জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুস সুবহান,  সাবেক জাপা নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার, বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক হোসেন, জাপার সাবেক সাংসদ আবদুল জব্বার ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের রাজাকার মাহিদুর রহমান।

এমএ/টিএফ

আরও পড়ুন