চুয়াডাঙ্গায় স্বামীর অনুপস্থিতিতে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার যদুপুর গ্রামে। বর্তমানে ওই গৃহবধূ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে থানায় মামলা হওয়ার পর অভিযুক্ত ওয়াশিম আলী (৩০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

গ্রেফতারকৃত ওয়াশিম আলী একই গ্রামের মৃত জাফর মন্ডলের ছেলে। 

পুলিশ জানায়, গত বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাতে গৃহবধূর স্বামী ব্যবসায়িক কাজে বাড়ির বাইরে অবস্থান করছিল। এ সুযোগে স্বামীর দুই বন্ধু একই গ্রামের মিলন ও ওয়াশিম দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধূর বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী একটি কলাবাগানে নিয়ে গিয়ে জোড়পূর্বক পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে মিলন ও ওয়াশিম। সে অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। পরে পরিবারের অন্য সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে গৃহবধূকে উদ্ধার করে। 

ধর্ষিতার স্বামীর অভিযোগ, একই গ্রামের আ. সাত্তারের ছেলে মিলন ও জাফর মন্ডলের ছেলে ওয়াশিমের সাথে তার ভালো সখ্যতা ছিল। সে সূত্রে অভিযুক্তরা পরিকল্পনা করে তাকে কৃষিপণ্য বিক্রির জন্য যশোরে যেতে বাধ্য করে। রাতে ফিরে আসতে না পারায় সে সুযোগে ধর্ষকরা তার স্ত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। 

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তদন্ত লুৎফুল কবীর জানান, এ ঘটনায় ওই গৃহবধূও স্বামী বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখ করে শুক্রবার রাতে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। রাতেই এজাহারনামীয় আসামি ওয়াশিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং এ মামলার অন্যতম আসামি মিলনকেও গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান চলছে। 

কেএসটি