• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৯, ২০১৯, ০৮:৩৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৯, ২০১৯, ১০:০২ পিএম

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল

সেন্টমার্টিনে ১২০০ পর্যটকের উদ্বেগ

সেন্টমার্টিনে ১২০০ পর্যটকের উদ্বেগ
সেন্টমার্টিনে আটকে পড়া পর্যটকদের কয়েকজন - ছবি : জাগরণ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রভাব নিয়ে কক্সবাজারের উপকূলে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে সংকেত বাড়তে থাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়েছে প্রায় ১২০০ পর্যটক। জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল।

বুলবুলের তীব্রতা শুরু হলে উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ভূমিধ্স ও ঝুপড়ি ঘরগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশাপাশি জেলা শহরসহ পাহাড়ি অন্যান্য এলাকাতেও পাহাড়ধসের শঙ্কার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে বুলবুলের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি রোধে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানিয়েছেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় সেন্টমার্টিনে প্রায় ১২০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন। বৃহস্পতিবার বেড়াতে আসা পর্যটকদের অনেকে রাতযাপনের জন্য থেকে যান। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে হঠাৎ সংকেত বেড়ে যাওয়ায় জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন।

চেয়ারম্যানের মতে, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৫টি সাইক্লোন শেল্টার ও বহুতল কয়েকটি হোটেল রয়েছে। কঠিন দুর্যোগ বা জলোচ্ছ্বস হলেও আটকে পড়া পর্যটকদের বিচলিত হবার কিছু নেই। সংকেত বাড়লে তাদের এসব উঁচু ভবনে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করা হবে।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে কক্সবাজারে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। শনিবার সকাল থেকে বৃষ্টি বেশি হচ্ছে। মাঝে দমকা হাওয়া বয়ে চলেছে। কক্সবাজারের উপকূলীয় নাজিরারটেক, পেকুয়ার মগনামা, কুতুবদিয়ার ভাঙা বেড়িবাঁধ এলাকা, মহেশখালীর নিচু এলাকা, সদরের পোকখালীসহ নিম্নাঞ্চল জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসব এলাকার জনপ্রতিনিধিরা।

এনআই

আরও পড়ুন