• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০২:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৩, ২০১৯, ০২:০৪ পিএম

সিরাজদিখানে লাঙল বিক্রির ধুম

সিরাজদিখানে লাঙল বিক্রির ধুম

আলু রোপণের মৌসুম সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জে সিরাজদিখান উপজেলায় লাঙল বিক্রির ধুম পড়েছে। সিরাজদিখান বাজারে সাপ্তাহিক হাটের দিন লাঙল কেনাকাটা করে চলেছেন কৃষক। প্রতি বুধবার ওই বাজারে লাঙল নিয়ে পসরা বসিয়ে থাকেন বিক্রেতারা। 

জানা গেছে, বর্ষা মৌসুম শেষ হতে না হতেই আলু রোপণ মৌসুমের সামনে কৃষকরা প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনাকাটা করছেন। এরই অংশ হিসেবে জমি প্রস্তুত করার লক্ষ্যে লাঙল কেনাকাটার ধুম পড়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।  

উপজেলার কয়েকটি গ্রামে লাঙল তৈরি করা হয়ে থাকে। আর লাঙল তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মিস্ত্রীরা। একান্ত আলাপচারিতায় তারা জানিয়েছেন- তিনটি জিনিস দিয়ে তৈরি হয় লাঙল। এর মধ্যে ইস, লাঙল, ফাল দিয়ে তৈরি হয় পূর্ণাঙ্গ একটি লাঙল। এটি তৈরির অন্যতম একটি উপকরণ হচ্ছে কাঠ। আর কাঠের গুনগত মানের ব্যবধানের কারণে একেকটি লাঙলের দাম একেক রকম হয়ে থাকে। সারেন্দ্র ও গাত দুই ধরনের লাঙল বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায়।  

উপজেলার চম্পকদি গ্রামের কৃষক সোরহাব বলেন, আর ১০ থেকে ১৫ দিন পর থেকে আলু রোপণ শুরু হবে। তাই জমি প্রস্তুত করার জন্য উপকরণ হিসেবে লাঙলসহ আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি কিনে নিচ্ছি। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর লাঙলের দাম একটু বেশি। ১ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে একটি নাঙল কিনেছি। তাও ত্রুটি থাকার কারণে বিক্রেতা লাঙলটির দাম কম রেখেছেন।

উপজেলার মধ্যপাড়া গ্রামের লাঙল বিক্রেতা শান্তি  মিস্ত্রী বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে আলুর মৌসুমে সিরাজদিখান বাজারে লাঙল বিক্রি করে থাকি। মোটা ও চিকন ধরনের লাঙল তৈরি করে থাকি। ক্রেতা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী এ লাঙল কিনে থাকেন। লাঙল তৈরিতে লোহা ও বরই কাঠ বেশি ব্যবহৃত হয়। একটি লাঙল তৈরি করতে ১ হাজার ২০০ টাকা খেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা খরচ হয়ে থাকে। 

পানিয়া খিলগাও গ্রামের বিক্রেতা মহাদেব মিস্ত্রি বলেন, আলু রোপণ মৌসুম এলেই সিরাজদিখান বাজারে লাঙল বিক্রির ধুম পড়ে। কৃষকরা বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাঙল কেনাকাটা শুরু করে থাকেন। কৃষকদের চাহিদার কথা ভেবে বছরের এ সময়ে লাঙল তৈরি করে থাকেন মিস্ত্রীরা।

কেএসটি

আরও পড়ুন