• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০১৯, ০৬:২০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ১৮, ২০১৯, ০৬:২০ পিএম

স্বজনদের খুঁজছে চট্টগ্রামে বিস্ফোরণে আহত ইসমাইল 

স্বজনদের খুঁজছে চট্টগ্রামে বিস্ফোরণে আহত ইসমাইল 

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার একদিন পর জ্ঞান ফিরে আসে বিস্ফোরণে আহত লক্ষ্মীপুর জেলার ইসমাইলের। এরপর সে স্বজনদের খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে নিজের পরিচয়ও দিতে পারেন ইসমাইল। 
পরিচয়হীন রোগী হিসেবে রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে নগরীর কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডে ধনা বড়ুয়ার কুঞ্জমনি ভবনে বিস্ফোরণে দেয়াল উপড়ে পড়ে আহত ইসমাইলকে (৩০) চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়্যালিটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। 
এরপর হাসপাতালের নার্স ও চিকিৎসকরা যত্নসহকারে চিকিৎসা করেন তার। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে জ্ঞান ফিরে আসে মো. ইসমাইলের। খুঁজতে থাকেন স্বজনদের। পরে সে কোথায় জানতে চান। 

একপর্যায়ে নিজের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার ১২ নম্বর গুনচর হাজীর হাট এলাকায় বলে জানান ইসমাইল। তারা চার ভাই তিন বোনের মধ্যে সে বড় সন্তান। দুপুরের দিকে তার স্মৃতিতে ভেসে উঠে ভয়াবহ সেই বিস্ফোরণের কথা।  

ইসমাইল বলেন, নগরীর ফিশারিঘাট এলাকায় গত শনিবার রাতে বোটে জেলের কাজ করতে চট্টগ্রাম আসেন তারা তিনজন। রোববার সকালে নগরীর কদমতলী এলাকায় আরিফ (১৩) নামে একজনকে গাড়িতে তুলে দিতে যাচ্ছিলাম। ওই বিল্ডিংয়ের সামনে দিয়ে অতিক্রম করার সময় হঠাৎ বড় ধরনের আওয়াজ হয়। তারপর কিছু বলতে পারি না। 
পরে জ্ঞান ফিরলে দেখি আমি চমেক হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছি। আমাদের সাথে থাকা রিকশায় তিনজনও গুরুতর আহত। সবাই চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গুরুতর আহত হওয়ায় বাড়িতে স্বজনদের কাছে খবরও দিতে পারছে না বলে জানান তিনি। 
তার সঙ্গে থাকা ইউসুফ ও আরিফ নোয়াখালী সদর থানার নূর পাঠোয়ারির হাটের বাসিন্দা। আহত ইউসুফ বলেন, আরিফসহ চট্টগ্রাম এসেছিলাম গত শনিবার। রোববার নোয়াখালী যাওয়ার জন্য রিকশা করে কদমতলী যাচ্ছিলাম। এতে হঠাৎ বিস্ফোরণের পর আর কিছু বলতে পারি না, কি হয়েছে। পরে মেডিকেলে সন্ধ্যার দিকে জানতে পারি গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে আহত হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি।

চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক আখতারুল ইসলাম বলেন, পাথরঘাটায় বিস্ফোরণে আহত ৮ জন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার মধ্যে আইসিইউতে ৩ জন, ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডে ৩ জন, ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১ জন ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

ক্যাজুয়ালিটি ওয়ার্ডের সিনিয়র নার্স কামরুন নাহার বলেন, বিস্ফোরণে আমাদের ওয়ার্ডে তিনজন চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের স্বজন এখানো হাসপাতালে আসেনি। স্বজন না থাকলেও সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি আমরা। 

উল্লেখ্য, রোববার সকাল ৯টায় বিস্ফোরণে ৭ জন নিহতের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, পটিয়ার প্রকৌশলী পলাশ বড়ুয়া স্ত্রী অ্যানি বডুয়া, কক্সবাজারের উখিয়ার নুরুল ইসলাম, সাতকানিয়ার একই পরিবারের ফারজানা আক্তার (মা) ও আতিকুর রহমান (ছেলে), পটিয়ার রিকশাচালক আব্দুর শুক্কুর, মহেশখালীর ভ্যানচালক মো. সেলিম ও লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়ায় ইউনিয়নের আবুল কাশেমের ছেলে মাহমুদুল।
আহত হন ১০ জন। তম্মধ্যে একজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেলেও ৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। অর্পিতা নামে এক স্কুলছাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে। 

কেএসটি

আরও পড়ুন