• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০১৯, ১২:২৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২০, ২০১৯, ১২:৩০ পিএম

হিমুকে পিইসি পরীক্ষা দিতে দেননি প্রধান শিক্ষক

হিমুকে পিইসি পরীক্ষা দিতে দেননি প্রধান শিক্ষক
মা-বাবার সঙ্গে হিমু- ছবি: জাগরণ

পাবনার চাটমোহরে প্রস্তুতিমূলক (মডেল টেস্ট) পরীক্ষায় পাশ করার পরও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় বসতে দেয়া হয়নি হিমুকে। ফেল করার শঙ্কায় অভিভাবকে ভুলভাল বুঝিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেননি তারই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম।

এ ঘটনায় হিমু, তার বাবা-মা এবং স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। হিমুর শিক্ষাজীবন থেকে কেড়ে নেয়া এক বছরের দায় কার, জড়িত ব্যক্তির কী আদৌও শাস্তি হবে- এ প্রশ্ন এলাকাবাসীর।

হিমু পাবনার চাটমোহরের দক্ষিণ শিবরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় নিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে অংশ নেয়ার কথা ছিল তার।

তার বাবা আব্দুল হাই গণমাধ্যমকে জানান, টেস্ট পরীক্ষায় তার মেয়ে পাশ করেছে। পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুতিও নিয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর দুই দিন আগে বাড়িতে এসে মেয়েকে পরীক্ষা দিতে মানা করেছেন হেড মাস্টার। 

আব্দুল হাই জানান, হিমুর একটু বুদ্ধি কম (প্রতিবন্ধি)। লিখতে ও পড়তে একটু সময় নেয়। এটাই সমস্যা। হেড মাস্টার একটা আবেদনে তার সই নিয়ে গেছেন। ভালো প্রস্তুতি নিয়ে আগামী বছর পরীক্ষা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আব্দুল হাইয়ের বাড়ি রামচন্দ্রপুর গ্রামে। আব্দুল হাই ও সেলিনা পারভীন দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে হিমু বড়।

প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম বলেন, হিমু খবুই দুর্বল ছাত্রী। পিইসিতে এবার ভালো (পাশ) করতে পারতো না। মানবিক ও স্থানীয় বিবেচনায় তাকে টেষ্ট পরীক্ষায় নম্বর ধরে দেয়া হয়েছিল। ওর বাবা-মা ও স্কুলের কমিটির সঙ্গে কথা বলেই পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়নি। বিদ্যালয়ের পাঠদান দুর্বল কী না এবং উপবৃত্তির সুবিধার জন্য তারা পরীক্ষার্থীদের নম্বর ধরে দেয়া হয় কীনা-এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রধান শিক্ষক এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, কোন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশ নিতে না দেয়া অপরাধ। আমি তাকে (প্রধান শিক্ষক) কারণ দর্শানোর নোটিশ দেব। হিমুর শিক্ষাজীবনের একবছর ক্ষতির দায় কার জানতে চাইলে বলেন, বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করবো, তারাই আইনগত পদক্ষেপ নেবেন। 

এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পাবনা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মানুষ। এ বছর ইবতেদায়ী ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় উপজেলা থেকে ঝরে পড়েছে ২৬১ শিক্ষার্থী।

টিএফ

আরও পড়ুন