সাতক্ষীরার আশাশুনিতে যৌতুকের দাবিতে স্বপ্না রানী মন্ডল (২০) নামের এক গৃহবধূকে স্বামী ও শাশুড়ি মিলে পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যার মিথ্যা প্রচার চালানো হয়েছে এলাকায়।
নিহত স্বপ্না রানী মন্ডল আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের ফটিকখালী গ্রামের পরিমল মন্ডলের মেয়ে এবং ডুমুরপোঁতা গ্রামের মৃত সনাতন সরকারের ছেলে প্রশান্ত সরকারের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ডুমুরপোঁতা গ্রাম থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ স্বামী প্রশান্ত সরকার ও শাশুড়ি সবিতা সরকারকে আটক করেছে।
স্বপ্না রানী মন্ডলের কাকা শ্যামল কুমার মন্ডল জানান, যৌতুকের দাবিতে তার ভাইজিকে প্রায়ই নির্যাতন করত তার স্বামী ও শাশুড়ি। এরই জের ধরে বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতে তাকে মারধর করলে স্বপ্না গুরুতর আহত হয়। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার ভোরে সে মারা যায়। স্বপ্না মারা যাওয়ার পর তার মুখে বিষ ঢেলে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হয়। তিনি আরো জানান, স্বপ্নার গায়ে মারপিটের একাধিক চিহ্ন রয়েছে।
আশাশুনি থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে নিহত স্বপ্নার স্বামী প্রশান্ত সরকার ও শাশুড়ি সবিতা সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
এনআই