• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০১৯, ০১:২৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৫, ২০১৯, ০১:৩৯ পিএম

আ.লীগের খুলনা মহানগর ও জেলা সম্মেলন

কমিটি গঠনে মহানগর এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে জেলা

কমিটি গঠনে মহানগর এগিয়ে থাকলেও পিছিয়ে জেলা

আগামী ১০ ডিসেম্বর খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনকে ঘিরে ইতোমধ্যে মহানগর ও জেলা কমিটিতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠেয় এই সম্মেলনকে ঘিরে চলছে নানা সমীকরণ। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা এই দলটি খুলনা মহানগর শাখার কার্যক্রম যতটা শক্তিশালী জেলার ৯ উপজেলা কমিটি ততটাই নিষ্ক্রীয়। সাংগঠনিক কার্যক্রম তেমন একটা দেখা যায় না। বিভিন্ন দিবস পালনের মধ্যেই প্রায় সময় সীমাবদ্ধ থাকে। 

ইতোপূর্বে তৃণমূল পর্যায়ে কমিটির সম্মেলন শেষ করে নগর ও জেলা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হয়। সে লক্ষে মাঠ পর্যায়ে সদস্য তালিকা সংগ্রহও শুরু হয়। উপজেলা কমিটির সম্মেলন করারও সিদ্ধান্ত হয়। দিনক্ষণও ঠিক হয়। হঠাৎ করে জেলা কমিটির এক সভায় জেলার পাইকগাছা উপজেলা শাখা ছাড়া অন্য ৮টি উপজেলার সম্মেলন স্থগিত করা হয়। বলা হয় জাতীয় কাউিন্সিলের পরই ওয়ার্ড , ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তারপর থেকে জেলার তৃণমূল পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠণিক কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ে।

অপরদিকে পূর্বঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহানগর শাখার সাংগঠনিক ৩৬টি ওয়ার্ডের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৫টি ওয়ার্ডে সম্মেলন শেষ হয়েছে। অন্যগুলো চলতি মাসের মধ্যেই শেষ হবে। তবে মহানগরীর ৫টি থানা কমিটির সম্মেলন এই মুহূর্তে হচ্ছে না। এটি পরে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। 

২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর আওয়ামী লীগের মহানগর সম্মেলন হয়। ওই সম্মেলনে তালুকদার আবদুল খালেক সভাপতি ও মিজানুর রহমান মিজানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এর প্রায় ২ বছর পর ২০১৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। মহানগর কমিটির সভাপতি তালুকদার আবদুল খালেক এখন প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় খুলনা সিটি করপোরেশনের  মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন।

মহানগর সম্মেলনকে সামনে রেখে খুলনা মহানগরের সাংগঠনিক ৩৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টি ওয়ার্ডে সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে। এর মধ্যে  খুলনা সদর থানা শাখার ২১ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি হয়েছেন জামিরুল হুদা জহোর ও সাধারণ সম্পাদক ইমরানুল হক বাবু। ২২ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি হয়েছেন মাহবুবুল আলম বাবলু ও সাধারণ সম্পাদক ওহিদুজ্জামান পলাশ। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি হয়েছেন চৌধুরী মিনহাজ উজ্জাজামান সজল ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজুল ইসলাম টিটো। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি হয়েছেন মঈনুল ইসলাম নাসির ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান শিকদার। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি হয়েছেন  ফেরদৌস রহমান লাবু ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ইশারুল হক। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি হয়েছেন অ্যাড. ফারুক হোসেন  ও সাধারণ সম্পাদক মো. শিহাবুদ্দীন। ৩১ নম্বর ওর্য়াডে সভাপতি হয়েছেন জিয়াউল ইসলাম মন্টু ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম।

সদর থানার ২৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে সম্মেলন হয়নি। সোনাডাঙ্গা থানায় ওয়ার্ডের সংখ্যা ৭টি। সম্মেলন অনুষ্ঠিত ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি হয়েছেন শেখ আবিদ উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইফতেখার চালু। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি হয়েছেন  নুর ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আলী খান। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি হয়েছেন শেখ জাহিদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক  মো. জাকির হোসেন। সম্মেলন হয়নি ১৯, ২০, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে। খালিশপুর থানার ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি হয়েছেন সেলিম আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান। ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি হয়েছেন আব্দুস সাত্তার লিটন ও সাধারণ সম্পাদক মো. বাবলু। ১৩ নম্বরে সভাপতি হয়েছেন এস এম মোর্শেদ আহমেদ মনি ও সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আলম খান খোকন।

সম্মেলন বাকি রয়েছে ৯,১০,১১,১২, ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। খানজাহান আলী থানার ৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি হয়েছেন শেখ ইকবাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক খ ম লিয়াকত। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি হয়েছেন খান হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক  মো. আব্দুল হক। সম্মেলনের অপেক্ষায় রয়েছে ২, ৩৩ ও ৩৬ নম্বর ওর্য়াডে।  দৌলতপুর থানায় সাংগঠনিক ওয়ার্ডে রয়েছে ৬টি সেগুলো হল ১, ৩,৪,৫,৬ ও ৩২। এই থানা শাখার সব কয়টি ওর্য়াডে সম্মেলন বাকি রযেছে।  আওয়ামী লীগ খুলনা মহানগর শাখার দফতর সম্পাদক মুন্সী মাহবুবুল আলম সোহাগ এ বিষয়ে বলেন, মহানগর শাখার সম্মেলনের আগেই অন্য সব কয়টি ওর্য়াডে সম্মেলনের কাজ শেষ হবে। 

অপরদিকে ২০১৫ সালের ২৬  ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ জেলা শাখার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে শেখ হারুনুর রশিদ সভাপতি ও এসএম মোস্তফা রশিদী সুজা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর ৯ মাস পর গঠিত হয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি। জেলা শাখার সম্মেলনের পূর্বে উপজেলা শাখার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সে অনুযায়ী উপজেলা কমিটিগুলো ওয়ার্ড, ইউনিয়ন  শাখার সদস্য সংগ্রহ শেষ করে সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু করে। পরে জেলা কমিটির বিশেষ বর্ধিত সভায় তা স্থগিত করা হয়। বলা হয় জাতীয় কাউন্সিলের পরই উপজেলা সম্মেলনের কাজ শুরু হবে। 

দলীয় সূত্র জানায় ১০ ডিসেম্বর সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকবেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। উদ্বোধক থাকবেন পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন আব্দুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ আল স্বপন এমপি, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, এস এম কামাল হোসেন ও অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন।

একেএস
 

আরও পড়ুন