• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০১৯, ০৫:৩৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৩, ২০১৯, ০৫:৩৯ পিএম

খুলনার নয় উপজেলায় আ.লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনিশ্চিত

খুলনার নয় উপজেলায় আ.লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনিশ্চিত

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিলকে সামনে রেখে খুলনা জেলা শাখার সম্মেলন নির্ধারণ করা হয় আগামী ৮ ডিসেম্বর। এরই প্রেক্ষিতে জেলার ৯টি উপজেলায় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। সে অনুযায়ী অনেক উপজেলা নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরাতন সদস্য নবায়ন কার্যক্রম শুরু করে। এতেই সৃষ্টি হয় জটিলতা। এ রকম পরিস্থিতিতে জেলার নয়টি উপজেলা মধ্যে বেশির ভাগ উপজেলায় সম্মেলন নাও হতে পারে। যদিও আগামী ৬ নভেম্বর আওয়ামী লীগ খুলনা জেলা শাখার বর্ধিত সভা আহবান করা হয়েছে। ওই সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। 

গত অক্টোবর মাসের ৪ তারিখে আওয়ামী লীগ খুলনা জেলা শাখার বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় নয়টি উপজেলার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ১৯ নভেম্বর রূপসা উপজেলা শাখা, ২০ নভেম্বর ফুলতলা উপজেলা শাখা, ২৩ নভেম্বর বটিয়াঘাটা উপজেলা শাখা, ২৪ নভেম্বর  তেরখাদা উপজেলা শাখা, ২৫ নভেম্বর দিঘলিয়া উপজেলা শাখা, ২৭ নভেম্বর ডুমুরিয়া উপজেলা শাখা, ২৮ নভেম্বর কয়রা উপজেলা শাখা, ৩০ নভেম্বর পাইকগাছা উপজেলা শাখা ০ ১ ডিসেম্বর দাকোপ উপজেলা শাখার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। 

সে  লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের নেতাদের ওয়ার্ড কমিটি গঠন ও সদস্য অন্তর্ভুক্তি ও নবায়নের কাজ শুরু হয়। আর এতেই বাধে বিপত্তি। সদস্য সংগ্রহ নবায়ন নিয়ে বিভিন্ন স্থানে সংঘাত ও মতবিরোধ দেখা দেয়া এজন্য নির্ধারিত সময়ে ওয়ার্ড কমিটি, ইউনিয়ন কমিটির সম্মেলন করা হয়ত সম্ভব নাও হতে পারে। এছাড়া সারাদেশে মাঠ পর্যায়ে আওযামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা প্রকাশ করলেও খুলনায় এখনও তালিকা জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হাতে পৌঁছেনি। যদিও জেলা নেতারা দাবি করেছেন জেলায় কোন অনুপ্রবেশকারী ও স্বাধীনতাবিরোধী ব্যক্তি নেই। 

আওয়ামী লীগ খুলনা জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সুজিত অধিকারী বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা কেন্দ্র থেকে করা হয়েছে। সেখানে স্থানীয় নেতাদের কোনও ভূমিকা নেই। তবে, স্থানীয়ভাবে কয়েকটি উপজেলা থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীরা কয়েকটি অভিযোগপত্র জেলা নেতাদের কাছে জমা দিয়েছেন। তা কমিটির সভায় উপস্থাপন ও আলোচনা করার পর জানা যাবে।

আওয়ামী লীগ খুলনা জেলা শাখার সভাপতি শেক হারুনুর রশিদ বলেন, ‘রোববার বিকাল পর্যন্ত আমরা অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা হাতে পাইনি। তবে সম্মেলন সফল করার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুসরণ করেই যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছি। কেন্দ্র থেকে অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ রয়েছে। পাশাপাশি চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধীদের ব্যাপারে কঠোরতা আরোপের নির্দেশনা রয়েছে। এদের ব্যাপারে কেবল সম্মেলনেই নয়, সার্বিকভাবে সতর্ক থাকারও নির্দেশনা রয়েছে।’ 

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের সময় বেশি বাকি নেই। তাছাড়া উপজেলা কমিটিও গঠনের মত পর্যাপ্ত সময় হাতে নেই। তাই ২/১টি উপজেলা ছাড়া সব উপজেলায় সম্মেলন করা সম্ভব নাও হতে পারে। 

প্রসঙ্গত, ২৪ সেপ্টেম্বর সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা খুলনার ১০ জেলার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে দেন। ওই সভায় আগামী ৭ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের খুলনা মহানগর সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। পরে জেলা শাখা ৪ অক্টোবর বর্ধিত সভায় আগামী ৮ ডিসেম্বর জেলা সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেন। 

কেএসটি

আরও পড়ুন