• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০১৯, ০৪:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৫, ২০১৯, ০৪:৪৭ পিএম

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে খোকসায় আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে খোকসায় আওয়ামী লীগের সংঘর্ষ
সম্মেলনকে কেন্দ্র করে খোকসায় আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ -ছবি : জাগরণ

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন কে কেন্দ্র করে মাঠ দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের সমর্থিত দু’গ্রুপের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয়। সংঘর্ষে দু’গ্রুপের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকালে এ সংঘর্ষ হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির ভাতিজা রবিন খান, জয়নাল মোল্লা, শ্রমিক লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ওরফে সাইদুল, আকাশ, আছিব, উজ্জল, সাগর, নয়ন, লিটন, জিহাদ, দুলাল, মতিন শেখ ও হজরত।

সোমবার দুপুর ৩টায় খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ৭ বছর পর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেনের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সকালে সাড়ে ৯টার আগে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান ও স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জের সমর্থক ও নেতাকর্মীরা সভাস্থলের চেয়ার দখলের চেষ্টা করে। এ সময় হলুদ গেঞ্জি পরিহিত এমপি সমর্থিত বাবুল আখতারের কর্মী সমর্থকদের সাথে সাদা গেঞ্জিপরিহিত সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র তারিকুল ইসলামের সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয়। লাঠিসোটা ও দেশীয় আস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে খোকসা ইউনিয়নের ক্লাব মোড়, তেল পাম্প, বাসস্ট্যান্ডেসহ বিভিন্ন পয়েন্টে দুই দলের কর্মী সমর্থকেরা লাঠিসোটা নিয়ে অবস্থান নেয়। এ ঘটনার পর সভাস্থল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী জেরীন কান্তা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নূরানী ফেরদৌস দিশা চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে যান।

সম্মেলনস্থলে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন কমিটির সদস্য আরিফুল আলম তসর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আখতার।

সম্মেলন কমিটির সদস্য জানান, হামলার পর আহত কর্মী সমর্থকদের নিয়ে তারা ব্যস্ত রয়েছে। সম্মেলন হবে কি না সে বিষয়ে পরে জানাবেন।

উপজেলা সভাপতি জানান, কেন্দ্রীয় নেতারা জেলায় অবস্থান করছেন। নির্ধারিত সময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।        

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ ৮ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সম্মেলনস্থলে চারিদিকে সাদা পোষাকের পুলিশ রাখা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় নেতারা সভায় যোগ দেবেন বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।     

একেএস

আরও পড়ুন