তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী সমঝোতা বৈঠক করেও সমস্যার সমাধান হয়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে হাসপাতালের ডেন্টাল ইউনিটে এক রোগীকে ইনজেকশন দেয়াকে কেন্দ্র করে সিনিয়র স্টাফ নার্স উর্মির সাথে কথা-কাটাকাটি হয় ইন্টার্ন চিকিৎসক আরিফ হোসেনের। পরে দুজনই দুজনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
এ নিয়ে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে স্টাফ নার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা প্রতিবাদ করতে গেলে আবারও শুরু হয় উভয়ের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা। পরে উভয় পক্ষ বিচারের দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করে হাসপাতাল পরিচালকের কার্যালয় ঘেরাও করে রাখে। কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা ও অন্যান্য কার্যক্রম সকাল থেকে বন্ধ আছে। এতে করে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েন হাসপাতালের রোগী ও তাদের অভিভাবকরা।
পরে বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য হাসপাতালের পরিচালক ডা. আমিনুর রহমান তার চেম্বারে উভয় পক্ষ, ওই ডেন্টাল বিভাগীয় প্রধান এবং মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ অন্যদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। সেখানে স্টাফ নার্সরা ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেও তা মানছেন না ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তাদের দাবি, ওই নার্সদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। এ অবস্থায় বিপাকে পড়ে হাসপাতাল প্রশাসন। পরে স্টাফ নার্সরা কাজে যোগ দিলেও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য তাদের কর্মবিরতি অব্যাহত রাখেন।
এ ব্যাপারে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন গাজি বলেন, তাদের সহকর্মীকে মারধর করার বিচার ও শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মবিরতি চলবে।
এনআই