• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০১৯, ০৩:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৩০, ২০১৯, ০৩:০২ পিএম

১ ডিসেম্বর থেকে বরিশালে ফের পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি

১ ডিসেম্বর থেকে বরিশালে ফের পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি

১ ডিসেম্বর থেকে বরিশালে পুনরায় বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মাধ্যমে শুরু হচ্ছে ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম। পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে দ্বিতীয় দফায় এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। এর আগে গত বুধবার (২০ নভেম্বর) প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে টিসিবি।

শুধুমাত্র বরিশাল নগরীর পাঁচটি পয়েন্টে বিক্রি করা প্রথম চালানের ১০ টন পেঁয়াজ দু’দিনেই শেষ হয়ে যায় বলে বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে, দ্বিতীয় দফায় টিসিবি পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম শুরু করতে গেলেও দ্বিতীয় বরাদ্দ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। মাত্র পাঁচ টন পেঁয়াজ বরাদ্দ দেয়ায় তা বিক্রি শুরুর আগেই শেষ হয়ে যাবার আশঙ্কা করছেন তারা।

বরিশাল জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল থেকে জানানো হয়েছে, ‘বেশ কিছু দিন ধরে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো বরিশালেও পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল ছিলো। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা লাভের আশায় কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করে তোলে।

তাই পেঁয়াজের সিন্ডিকেট ভাঙতে গত ২০ নভেম্বর বরিশালে টিসিবি’র মাধ্যমে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হয়। তার ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় দফায় ১ ডিসেম্বর থেকে পুনরায় খোলা বাজারে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করবে তারা।

টিসিবি’র পাঁচজন ডিলার ট্রাক সেলের মাধ্যমে নগরীর জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্তর, সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনের সামনে, আমতলার মোড় পানির ট্যাংকি সংলগ্ন, বটতলা চৌমাথা বাজার এবং রূপাতলী চান্দু মার্কেট এলাকায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি হবে।

এদিকে, ট্রাক সেলের মাধ্যমে টিসিবি’র পেঁয়াজ বিক্রি করা ডিলাররা জানান, ‘বাজারে যে পেঁয়াজের দাম তাতে সাধারণ মানুষ পেঁয়াজ কিনে খেতে পারছে না। তার মধ্যে টিসিবি’র পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রম বেশ সাড়া ফেলে। কিন্তু বরিশালে যে পরিমান চাহিদা রয়েছে সে তুলনায় পেঁয়াজের বরাদ্দের পরিমাণ খুবই নগণ্য।

তারা বলেন, ‘প্রথম চালানে ১০ টন পেঁয়াজ আসে। পাঁচজন ডিলারকে দু’দিনে এক টন করে মোট ১০ টন পেঁয়াজ বরাদ্দ দেয়া হয়েছিলো। যা ওই দুই দিনেই শেষ হয়ে গেছে। আমরা ভেবে ছিলাম দ্বিতীয় চালানে বরিশালে পেঁয়াজের বরাদ্দ বেশি পাবে। কিন্তু তা হয়নি। বরং প্রথম চালানের থেকে অর্ধ্বেক কমে গেছে। ফলে এ নিয়ে সাধারণ মহলে ক্ষোভ রয়েছে।

টিসিবি বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান আনিচুর রহমান জানান, ‘মিয়ানমার থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের চালান থেকে বিক্রির জন্য পাঁচ হাজার কেজি পেঁয়াজ বরিশালে এসেছি। যা পাঁচজন ডিলারকে এক হাজার কেজি করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আমরা চাহিদাপত্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দিয়েছি। পরবর্তীতে আরও কিছু পরিমান পেঁয়াজ বরাদ্দ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কেএসটি
 

আরও পড়ুন