• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২১, ২০১৯, ০৬:৩৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ডিসেম্বর ২১, ২০১৯, ০৬:৩৮ পিএম

শীতে কাঁপছে ফরিদপুর, স্থবির জনজীবন

শীতে কাঁপছে ফরিদপুর, স্থবির জনজীবন
কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে ফরিদপুরের জনপদ - ছবি : জাগরণ

ফরিদপুরে তীব্র শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। গত দুই দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। দিন দিন তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার মানুষ।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানান ফরিদপুর আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক সুরজুল আমিন। তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।

ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় কমছে না শীতের তীব্রতা। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় হলেও হ্রাস পাচ্ছে রাতের তাপমাত্রা। শীতল বাতাস বাড়িয়ে দিচ্ছে মানুষের ভোগান্তি। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা গেছে এসব মানুষকে। গত দুই দিন সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিললেও শনিবার আর সূর্যের দেখা মেলেনি। এছাড়া হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা।

এদিকে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা, আড়িয়ালখাঁ ও মধুমতী  নদীপারের মানুষগুলো শীতের দাপটে হিমশিম খাচ্ছে।

ফরিদপুর জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম জানান, জেলার ৮১টি ইউনিয়ন ও ৬টি পৌরসভায় ৪৬০টি করে সরকারি অনুদান শীতবস্ত্র কম্বল এসেছে। আমরা সেগুলো নয়টি উপজেলায় বিতরণ শুরু করেছি। এছাড়া জরুরি বরাদ্দ হিসেবে আরো ৯ হাজার ১০০ কম্বল পেয়েছি।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার রাতেও শহরের রাস্তায় কাটানো হতদরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলার চরাঞ্চলগুলোতে অগ্রাধিকার হিসেবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি জানান, পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র রয়েছে, শীতের কারণে কেউ কষ্টে থাকবে না।

এনআই

আরও পড়ুন