• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০, ০৯:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০, ০৯:৩৫ পিএম

৯ মাস পর সৌদি থেকে দেশে এল রহিমের মরদেহ

৯ মাস পর সৌদি থেকে দেশে এল রহিমের মরদেহ
২০১৯ সালের ১৭ মে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সৌদি আরবে নিহত আব্দুর রহিম - ছবি : জাগরণ

মৃত্যুর ৯ মাস পর সৌদি আরব থেকে বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আব্দুর রহিমের মরদেহ পৌঁছেছে নিজ বাড়িতে। মরদেহ আসার পর সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্বজন হারানোর কষ্টে আপনজনদের চোখের জল শুকিয়ে গেছে। শোকে তারা কাতর।

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বড়বাজু পাথাইলকান্দি গ্রামের মৃত নসকর আলীর ছেলে আব্দুর রহিম (৫২) প্রায় ১৭ বছর আগে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবের জেদ্দায় যান। কঠোর পরিশ্রম করে রোজগারের টাকা বাড়িতে নিয়মিত পাঠাতে থাকেন। তিনি কয়েক বছর পরপর দেশে আসতেন। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। ৩ মেয়ে নিয়ে স্ত্রী লিলি বেগম স্বাভাবিকভাবেই জীবন যাপন করছিলেন।

কিন্তু ২০১৯ সালের ১৭ মে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে কর্মক্ষেত্রে আব্দুর রহিম মারা যান। পরিবারের সদস্যদের জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। একমাত্র ভরসার ব্যক্তিকে হারিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের আকাশ ভেঙে পড়ে মাথায়।

নিহত আব্দুর রহিমের মেয়ের জামাতা নাহিদ সরকার বলেন, মারা যাওয়ার দীর্ঘ ৯ মাস অপেক্ষার পর আমরা ওনার মরদেহ ফিরে পেয়েছি। তিনি যেখানে কাজ করতেন, সেখান থেকে কোনো আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা পাইনি। তার ওপর মরদেহ ফিরে পেতে দূতাবাসসহ বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করতে আমাদের ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

আব্দুর রহিমের বড় মেয়ে সাবিনা আক্তার পপি গাজীপুরের একটি গার্মেন্টস কারখানায় কাজ করেন, মেজো মেয়ে পলি খাতুন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স পাস করেছেন এবং ছোট মেয়ে গৃহিণী। পুরো পরিবারের দেখভাল এবং দায়িত্ব ছিল তার ওপরই।

মরদেহ ফিরে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা বিলাপ করতে করতে বলেন, এমন ভাগ্য যেন আর কারো কপালে না জোটে। স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। তাদের দাবি, সরকারের মাধ্যমে যদি কিছুটা আর্থিক সাহায্য কিংবা ক্ষতিপূরণ পাওয়া যেত, তাহলে তাদের অনেক উপকার হতো।

এ বিষয়ে কালিহাতীর সল্লা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম বলেন, পরিবারের আর্থিক দুরবস্থা ঘুচাতে কৃষক পরিবারের সন্তান আব্দুর রহিম সৌদি আরবে যান। মর্মান্তিকভাবে তিনি মারা যাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা এখন দিশেহারা। সরকার কিংবা কর্মকালীন সৌদি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য পেলে পরিবারটা বাঁচতে পারবে। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় দেউপুর পশ্চিমপাড়া কবরস্থানে আব্দুর রহিমের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

এনআই

আরও পড়ুন