ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা কমতে কমছে।বিশেষ করে কাশ্মীর-হিমাচলসহ কয়েকটি রাজ্যে হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রায় যে বরফ পড়ছে, সেই শীতলতা এসে ঠেকছে পশ্চিমবঙ্গের হিমালয়ঘেঁষা পাহাড়ি জেলা দার্জিলিংয়েও। এখানে বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানী দিল্লিতে এ তাপমাত্রা দেখা গেছে ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কনকনে শীত জেঁকে বসায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন।

পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বছর শেষ পর্যন্ত এমনকি নতুন বছরের গোড়ার দিকে শীতের আমেজ স্থায়ী থাকবে পশ্চিমবঙ্গে। অন্য অঞ্চলগুলোতেও এই অবস্থা চলতে থাকবে। 

বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার তা ১ ডিগ্রি নেমে এসে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ডিগ্রি কম। 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আপাতত ১১ থেকে ১২ ডিগ্রির আশপাশে থাকবে। রাজ্যের অন্য জেলাগুলোতে, বিশেষ করে উত্তরে তাপমাত্রা থাকবে আরও কম। বর্তমানে দার্জিলিং (৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বাদে রাজ্যের অনেক জেলায়ই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে বিরাজ করছে। তবে এখন পর্যন্ত রাজ্যের কোথাও শৈত্যপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হচ্ছে না। 

এ মুহূর্তে দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানী ছাড়াও উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাটসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহ জারি রয়েছে। যদিও কাশ্মীর-হিমাচলসহ হিমালয়ঘেঁষা রাজ্যগুলোতে বিরাজ করছে হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা। কয়েকটি রাজ্যে তুষারপাত উপভোগে ঢল নামছে পর্যটকদের।

পশ্চিমবঙ্গে এই দফার শীত দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারণ সম্পর্কে আবহাওয়াবিদরা উত্তুরে হাওয়াকেই কারণ বলছেন। তারা বলছেন, কাশ্মীর-হিমাচল রাজ্যের দিক থেকে উত্তুরে হাওয়া উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকে। সেই হাওয়া বর্তমানে সক্রিয় থাকার কারণে শীত চলছে। 

বিএস