মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থান এবং দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেতা অং সান সু চি ও তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তারের পরিপ্রেক্ষিতে বান্দরবান সীমান্তে বাড়তি সতর্কতায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। 

সোমবার সন্ধ্যায় ফোনে জাগরণ প্রতিবেদককে এ কথা জানান কক্সবাজার বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার। 

মিয়ানমারের ঘটনার পর সোমবার সকাল থেকে মিয়ানমার-বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্তে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তুমব্রু ঘুমধুম, চাকঢালা, আশারতলী সীমান্তে সতর্কতা বাড়িয়েছে বিজিবি।

৮ নভেম্বরের নির্বাচন নিয়ে মিয়ানমারের বেসরকারি সরকার এনএলডি ও সামরিক বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। নির্বাচনে সু চির দল ৩৬৪টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউএসডিপি প্রতারণা ও ভোট কারচুপির অভিযোগ আনে।

বিষয়টি নিয়ে সেনাবাহিনী ও এনএলডির মধ্যে বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই ধারাবাহিকতায় মিয়ানমারে এক বছরের জরুরি অবস্থা জারি করে ক্ষমতা গ্রহণ করে দেশটির সেনাবাহিনী। সোমবার সকালে ক্ষমতাসীন দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) প্রধান অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টসহ বেশ কয়েকজনকে আটকের পরপরই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। 

এর পরপরই বান্দরবান সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে বিজিবি।

এই ব্যাপারে কক্সবাজার বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার বলেন, “এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়, আমাদের সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে, তারপরও যেহেতু একটি ঘটনা ঘটেছে সে জন্য আমরা সতর্ক আছি।”