• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০১৯, ০৬:১৫ পিএম

মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

 

শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাবদ বাধ্যতামূলক বেআইনি অর্থ গ্রহণ ও হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিক্ষক নূরজাহান হামিদা বরখাস্ত হয়েছেন। সোমবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি জাগরণকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক নুরজাহান হামিদা শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাবদ বাধ্যতামূলক বেআইনি অর্থ গ্রহণ ও হয়রানি করছে দুদকের হটলাইন (১০৬) এ এমন অভিযোগ পায় দুদক। অভিযোগ পেয়ে সোমবার মতিঝিল সনকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক। দুদক হটলাইনে ভুক্তভোগী অভিভাবকরা এ অভিযোগ করেন।

এরই প্রেক্ষিতে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মুনীর চৌধুরী তাৎক্ষণিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন। দুদকের সহকারী পরিচালক নার্গিস সুলতানা ও উপসহকারী পরিচালক সবুজ হাসানের সমন্বিত টিম এ অভিযান চালায়।

অভিযানে দেখা যায়, অভিভাবকদের নিকট হতে মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরজাহান হামিদা বাধ্যতামূলকভাবে বিনা রশিদে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা আদায় করছেন। এমনকি হতদরিদ্র ব্যক্তিদের সন্তানদেরও বিনামূল্যে ভর্তি করানো হয়নি। বরং তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে।

দদুদক টিম প্রমান পায়, ২০১৯ সালের ভর্তি বাবদ ওই প্রধান শিক্ষক এ পর্যন্ত এইভাবে ৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকা অবৈধ ভাবে আদায় করেছেন। এসব টাকার কোনো আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখা হয়নি। পরে প্রধান শিক্ষক দুদক টিমের কাছে অবৈধ অর্থ আদায়ের ঘটনা স্বীকার করেন।

মহাপরিচালক (প্রশাসন) বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে তাৎক্ষণিক শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। এর পরই প্রধান শিক্ষক নুরজাহান হামিদাকে বরখাস্তের আদেশ জারী করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়।

এ অভিযান প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক মহাপরিচালক (প্রশাসন) মুনীর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, দুদক শিক্ষা সেক্টরে দুর্নীতির শেঁকড় উৎপাটনে কঠোর অভিযান চালাবে। তবে এসব দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদেরও প্রতিরোধমূলক মানসিকতা থাকতে হবে। বেআইনিভাবে আদায়কৃত অর্থ অভিভাবকদের কাছে ফেরত প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আরআর/এসজেড