• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩১, ২০১৯, ০৩:৩৮ পিএম

প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্যরা সিআইডি হেফাজতে

প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্যরা সিআইডি হেফাজতে
প্রতীকী - ছবি

 

প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বিগত সময়ে বিভিন্ন নিয়োগ ও ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত চক্রের অর্ধশত ব্যক্তিকে সিআইডি গ্রেফতারে সক্ষম হয়েছে। সিআইডির দাবি, প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের আর কোনো সক্রিয় সদস্য গ্রেফতারের বাকি নেই। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নফাঁস চক্রের চাঞ্চল্যকর তথ্য দেয়া হয়।

সিআইডি বলছে,দেশের সবচেয়ে বড় প্রশ্নফাঁস চক্রের অধিকাংশ সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে। নিয়োগ ও ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস এবং ডিজিটাল জালিয়াতের পৃথক ২টি চক্রের সদস্যদের বিভিন্ন সময়ে তারা গ্রেফতারে সক্ষম হয়েছেন। সর্বশেষ ডিজিটাল ডিভাইস জালিয়াত চক্রের মূল হোতা হাফিজুর রহমান হাফিজ ও মাসুদ রহমান তাজুলসহ এখন পর্যন্ত এ দুটি চক্রের প্রায় ৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

সিআইডি বলছে, ভর্তি ও নিয়োগ পরীক্ষায় মূলত দুই ভাবে জালিয়াতি হয়। একটি চক্র প্রশ্ন ফাঁস করে। অন্য চক্রটি পরীক্ষার দিন প্রশ্ন সংগ্রহ করে সমাধান বের করে। এরপর ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে তা পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করে। সিআইডি প্রশ্নফাঁস চক্রটিকে আগেই শনাক্ত করেছে এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করেছে। এবার ডিজিটাল ডিভাইস জালিয়াতি চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে সক্ষম হয়েছে তারা।

সিআইডি আরও বলেছে, গত কয়েক দিন অভিযান চালিয়ে ডিজিটাল জালিয়াত চক্রের মূল হোতা বিকেএসপির সহকারী পরিচালক অলিপ কুমার বিশ্বাস, ৩৮-তম বিসিএসে নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত ইব্রাহিম মোল্লা, বিএডিসির সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল, আইয়ুব আলী বাঁধনসহ ৯ জনকে  গ্রেফতার করা হয়। এই চক্রটি বিসিএস পরীক্ষায় জালিয়াতি করেছে বলে সিআইডি জানায়।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে হাফিজ জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার এবং তাজুল ইসলাম ব্যবসায়ী। এছাড়া আবদুর রহমান রমিজ, সাইদুর রহমান ও মোহায়মিনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসির ছাত্র, রিমন গ্রীন ইউনিভার্সিটির ছাত্র, জাহাঙ্গীর আলম অগ্রণী ব্যাংকের ক্যাশ অফিসার, মোশারফ হোসেন মোসা ঢাকা কলেজের পিওন, অসীম বিশ্বাস ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানায় সিআইডি।  

এইচ এম/বিএস