• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৯, ০৪:৪৩ পিএম

ইলিশ পেতে ফারাক্কায় করিডোর বানাচ্ছে ভারত

ইলিশ পেতে ফারাক্কায় করিডোর বানাচ্ছে ভারত


সত্তরের দশকে ফারাক্কা বাঁধ তৈরির আগে গঙ্গা অববাহিকায় বাংলাদেশ থেকে ভারতের এলাহাবাদ পর্যন্ত বিচরণ ছিল ইলিশের। ফারাক্কা বাঁধ তৈরির পর থেকে ইলিশের চলাচলের পথ পরিবর্তন হয়ে গেছে। ইলিশ আর ভারতে যায় না।

২০১৬ সালের জুনে হাওড়ায় চার কেজি ওজনের একটি ইলিশের দাম উঠেছিল ২২ হাজার রুপি। ভারতে সাধারণত এত বড় ইলিশ আর ধরা পড়ে না। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছে ভারত। এখন তারা গঙ্গা নদীতে তৈরি করেছে বিশেষ ইলিশ করিডর।

ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারতে ইলিশ মাছ প্রবেশের জন্য নতুন ডিজাইনে তৈরি করা হবে ফারাক্কা বাঁধের নেভিগেশন লক। এ প্রকল্পে ৩৬১ কোটি রুপি খরচ করেছে ভারত। বর্ষাসহ ইলিশের প্রজননের তিন মৌসুমে যেন ভারতে জাটকা ঢুকতে পারে, সে লক্ষ্যে বিশেষ ডিজাইনে তৈরি করা হবে এই লক সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। 

ইলিশ মাছের চলাচলের জন্য তৈরি হওয়া এই করিডোর আগামী জুন মাসে চালু হবে। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে রাত একটা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত নেভিগেশন লকের গেট খুলে দেওয়া হবে, যাতে জাটকা ভারতে ঢুকতে পারে। সাধারণত ওই সময়ে জাটকা বিচরণ করে নদীতে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, সত্তরের দশকে ফারাক্কা বাঁধ তৈরি হওয়ার আগে পর্যন্ত এলাহাবাদেও পৌঁছে যেত ইলিশ। কিন্তু বাঁধের কারণে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ এলাহাবাদ পর্যন্ত যেতে পারে না। সম্প্রতি এ লকের নতুন নকশা করা হয়েছে। এতে প্রজননের সময় ইলিশের যাতায়াতে বাধা থাকবে না।

ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়ে অথোরিটি অব ইন্ডিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান প্রবীর পান্ডে টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘রাত একটা থেকে ভোর পাঁচটার মধ্যে আমরা আট মিটার পর্যন্ত গেট খুলে দেব। ওই সময়েই ইলিশ যাতায়াত করে।’ আইসিএআরসি সেন্টার ইনল্যান্ড ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট, কেন্দ্রীয় ওয়াটার কমিশন ও ফারাক্কা ব্যারেজ প্রজেক্ট অথোরিটির সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। নিজেদের নকশা করায় ১০০ কোটি রুপি সাশ্রয় হয়েছে।

ভারতের জাহাজশিল্প মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইলিশের এই অভিবাসন–প্রক্রিয়ায় এ অঞ্চলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। নদীর বৈচিত্র্য বাড়বে এবং মৎস্য অর্থনীতি বাড়বে।

আরআই