• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯, ১০:১৮ পিএম

বিশ্বে আলোচিত যত বিমান ছিনতাই

বিশ্বে আলোচিত যত বিমান ছিনতাই


মাত্র ৮ মিনিটের যৌথ বাহিনীর সফল অভিযানে চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে বিমান ছিনতাই নাটকের অবসান হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অস্ত্রধারী যুবক মাহাদী নিহত হয়েছেন। রোববার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৯টায় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ঘটনাটি দেশব্যাপী বেশ আলোড়ন করেছে। সবার কাছে প্রধান আলোচ্য বিষয় এটি । এখন পর্যন্ত বিশ্বের সর্বশেষ ছিনতাইয়ের ঘটনা এটাই। যদিও এটাতে সফল হতে দেননি বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী। প্রিয় পাঠক এবার এবার জেনে নিন বিশ্বে ঘটে যাওয়া আলোচিত বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা ও শেষ পরিণতি।

ইতিহাসের প্রথম (১৬ জুলাই ১৯৪৮)
ইতিহাসের প্রথম বাণিজ্যিক বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটে বিমান আবিষ্কারের প্রায় ৪৫ বছর পর। এখন পর্যন্ত স্বীকৃত বিমান ছিনতাই এটি।  সময়টা ছিল ১৬ জুলাই, ১৯৪৮। তবে বিমানটির নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয় ছিনতাইকারীরা। ছিনতাইয়ের পরিণতিস্বরূপ বিমানটি ম্যাকাও সাগরে বিধ্বস্ত হয়। এই ঘটনাটি তখন বিশ্বকে কাঁপিয়ে দেয়। ম্যাকাও থেকে হংকং যাওয়ার পথে ‘ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারওয়েজ’ এর ‘ক্যাটেসিনা বিমান’টি উড্ডয়নের মাত্র কয়েক মিনিট পরই ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে। ওয়ং উ ম্যান নামক একজনের নেতৃত্বে মোট চার বন্দুকধারী ছিনতাইয়ে অংশ নেয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল যাত্রীদের জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়। বিমানের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের জন্য পাইলটকে নির্দেশ দেয় তার। পাইলট তার কথা শুনেনি। উল্টো ছিনতাইকারীদের প্রতিরোধ করা চেষ্টা করেন পাইলট। কো-পাইলটও প্রতিবাদী হয়ে উঠলেন। বাধাপ্রাপ্ত হয়ে অস্ত্রধারীরা পাইলটকে গুলি করে। তখনই বিমান নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে এবং ম্যাকাও সাগরে পতিত হয়। বিমানে যাত্রী ছিলেন ২৬ জন। তাদের মধ্যে একজনই বেঁচে ছিলেন। তিনি ছিনতাই দলের নেতা ওয়ং উ ম্যান। পরবর্তী সময়ে তার স্বীকারোক্তি থেকেই বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনাটি পরিষ্কার হয়। প্রথমে কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ববাসী নিছক একটি দুর্ঘটনা মনে করেছিলেন। কিন্তু বিমানের ধ্বংসস্তূপ থেকে গুলিবিদ্ধ অংশ খুঁজে পেলে কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয়। তখন বেঁচে যাওয়া একমাত্র যাত্রী হংকং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওয়ংকে কড়া নজরদারিতে রাখা হয়। তার শয্যার পাশে গোয়েন্দা নিয়োগ করে পুলিশ। ওয়ংয়ের পাশের রোগী ছদ্মবেশী পুলিশের সঙ্গে কথার ফাঁকেই প্রকাশ হয় বিশ্বের প্রথম বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা।

নাইন ইলেভেন (১১ সেপ্টেম্বর ২০০১) 
আল-কায়েদার ১৯ জঙ্গি ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চারটি বিমান ছিনতাই করে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ও পেন্টাগনে হামলা চালায়। প্রথম আঘাত হানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রাণকেন্দ্র নিউ ইয়র্ক সিটিতে। স্থানীয় সময় তখন ৮টা ৪৬ মিনিট। ‘টুইন টাওয়ার’ হিসেবে পরিচিত বিশ্বের অন্যতম উঁচু দালানটিতে আঘাত হানে সন্ত্রাসীদের দখল করা দুটি যাত্রীবাহী বিমান। ওয়াশিংটনের পেন্টাগন ভবনেও হামলা চালায় আরেকটি বিমান। পেনসিলভানিয়ায় আরেকটি বিমান দিয়ে হামলার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। হামলার কয়েক সপ্তাহ আগে আবু আবদুর রহমান নামের এক পরিকল্পনাকারী তার বান্ধবীকে এমনি এক বার্তা পাঠিয়েছিলেন। তিনি লেখেন, ‘‘৩ সপ্তাহের মধ্যে প্রথম সেমিস্টার শুরু হবে। দুটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (টুইন টাওয়ার) এবং দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত লক্ষ্যবস্তু) এ গ্রীষ্মে নিশ্চিতভাবে অনেক গরম পড়বে। ব্যক্তিগত পড়াশোনায় ১৯টি সনদপত্র (হামলায় অংশগ্রহণকারী হাইজ্যাকারদের সংখ্যা) এবং ৪টি পরীক্ষা (হামলায় ব্যবহৃত বিমান)। অধ্যাপককে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা।’’ হামলার ৯৯ দিন পর পর্যন্ত আগুন জ্বলার প্রমাণ রয়েছে অনেকের কাছে। 

৪টি বিমান ওই হামলায় অংশ নেয়। দুটি বিমানের লক্ষ্য ছিল নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের উত্তর ও দক্ষিণ টাওয়ার। অন্য একটি বিমান আঘাত হেনেছিল পেন্টাগনে, যেটির অবস্থান ওয়াশিংটনের ঠিক বাইরেই। চতুর্থ বিমানটি আছড়ে পেনসিলভানিয়ার একটি মাঠে। ওই হামলায় তিন হাজারের বেশি লোক নিহত হন। আহত হন ১০ হাজারের মতো মানুষ। প্রথমে মনে করা হয়েছিল বিমানের পাইলট হয়তো মাতাল হয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। ১৮ মিনিটের মাথায় ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের আরেকটি বোয়িং৭৬৭ বিমান সাউথ টাওয়ারের ৬০তম তলায় ঢুকে পড়ে। স্থানীয় সময় ৯টা ৪৫ মিনিটে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের আরেকটি বোয়িং৭৫৭ বিমান আঘাত হানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দফতর পেন্টাগনের পশ্চিম অংশে। ওই হামলাতেও পেন্টাগনের ১২৫ জন সামরিক-বেসামরিক মানুষ নিহত হয়। এ হামলাকারী বিমানের ৬৪ জন আরোহীর সবাই ঘটনাস্থলেই মারা যান। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ঠিক কেন্দ্রে এ হামলার ১৫ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের সাউথ টাওয়ারটি ধসে পড়ে। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় ধসে পড়ে অপর টাওয়ারটিও। নিউ জার্সির ন্যুয়ার্ক বিমানবন্দর থেকে চতুর্থ বিমানটি উড়েছিল ক্যালিফোর্নিয়ার উদ্দেশে। বিমানটি ছিনতাইয়ের পর যাত্রীরা বুঝতে পেরেছিলেন কী হতে চলেছে। কয়েকজন যাত্রী অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নিয়ে ককপিটে হামলা করেন, বাধা দেন ছিনতাইকারীদের। ১০টা ১০ মিনিটে পেনসিলভানিয়ার একটি মাঠে আছড়ে পড়ে বিমানটি। হামলাকারীরা বিমানটিকে আসলে কোথায় নিতে চেয়েছিলেন সেটি এখনও পরিষ্কার নয়। 

ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্স ফ্লাইট (২৩ নভেম্বর ১৯৯৬)
অস্ট্রেলিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ৯৬১ ফ্লাইট ছিনতাই করে ইথিওপিয়ার তিন নাগরিক। আদ্দিস আবাবা থেকে নাইরোবীগামী বিমানটি ছিনতাইকারীরা অস্ট্রেলিয়ায় নেওয়ার চেষ্টা করে তারা। কিন্তু সেখানে যাওয়ার মতো প্রয়োজনীয় জ্বালানি ছিল না। পরে বিমানটি নিয়ে কমোরোস দ্বীপে অবতরণের চেষ্টা করেন পাইলট। কিন্তু সে পর্যন্তও পৌঁছাতে পারেনি বিমানটি। তার আগেই বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় ১৭২ যাত্রীর মধ্যে ১২২ জন নিহত হয়।

ভারতীয় ফ্লাইট ৮১৪ (২৪ ডিসেম্বর ১৯৯৯)
এই ছিনতাইয়ের ঘটনাটিকে ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে আলোচিত ও শ্বাসরুদ্ধকর বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা মানা হয়। নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী এয়ারপোর্টের দিকে ১৯৯৯ সালের ২৪ ডিসেম্বর যাচ্ছিল ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৮১৪ নামের একটি যাত্রীবাহী বিমান। ভারতের আকাশসীমায় আসার পরপরই ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে বিমানটি। পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী দল হরকাতুল মুজাহিদীন এই ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ছিল। ছিনতাইয়ের মূল কাণ্ডটি ঘটায় একজন সশস্ত্র লোক। অমৃতসর, লাহোর, দুবাই ছুঁয়ে শেষ পর্যন্ত বিমানটিকে আফগানিস্তানের কান্দাহারে অবতরণ করতে বাধ্য করে ছিনতাইকারীরা। ১৭৬ যাত্রীর মধ্যে দুবাইতে তারা ২৭ জনকে মুক্তি দেয়। ১ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। কয়েকজনকে আহত করে ছিনতাইকারীরা।  তাদের দাবি অনুসারে ভারত সরকার তাদের হাতে বন্দি মুশতাক আহমেদ জারগার, আহমেদ ওমর সৈয়দ শেখ এবং মাওলানা মাসুদ আজহারকে মুক্তি দিলে ৭ দিনের ছিনতাই নাটকের অবসান ঘটে। 

ডিবি কুপার হাইজ্যাক (২৪ নভেম্বর ১৯৭১)
২৪ নভেম্বর ১৯৭১ সালে ‘বোয়িং ৭২৭ বিমান’ ছিনতাই করেন একজন রহস্য মানব। যাকে ইতিহাসে ডিবি কুপার নামে ডাকা হয়। এটি সে সময় সারা বিশ্বে সাড়া ফেলেছিল। মজার ব্যাপার হলো— ডিবি কুপারের এই মামলা এখনো পর্যন্ত অমীমাংসিতই রয়ে গেছে। এফবিআই কর্মকর্তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কুপারকে এখনো চিহ্নিত করা যায়নি। কয়েক দিন আগে খবর বেরিয়েছিল, কুপার মারা গেছেন। তবুও এই রহস্য রহস্যই রয়ে গেছে।
 ছিনতাইয়ের পর তিনি তৎকালীন ২ লাখ আমেরিকান ডলার মুক্তিপণ গ্রহণ করেন এবং সেখান থেকে প্যারাসুটের মাধ্যমে পালিয়ে যান। বিমানে জিম্মি হিসেবে থাকা ৩৬ যাত্রী এবং ৬ ক্রুর সবাই জীবিত ছিলেন।

ছিনতাইয়ের বিমান ঢাকায় (২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭৭)
ফ্লাইট ৪৭২। জাপানি বিমান। ফ্রান্সের প্যারিস থেকে জাপানের টোকিওর হেনাডা বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিল ১৫৬ জন যাত্রী নিয়ে। যাত্রাবিরতি ছিল ভারতের মুম্বাইয়ে। বিরতি শেষ করেও উড়ছিল ফ্লাইট ৪৭২। তবে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই  বিমানটি ছিনতাইয়ের কবলে পড়েছে। জাপানের বামপন্থি সংগঠন ‘ইউনাইটেড রেড আর্মি’ বিমানটি ছিনতাই করে এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। ওসামো মারোয়াকার নেতৃত্বে বামপন্থি সশস্ত্র সংগঠনের মোট ৫ ছিনতাইকারী বিমানটি ছিনতাই করে নিয়ে আসে ঢাকা বিমানবন্দরে। জিম্মিদের ছাড়ানোর জন্য ৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং জেলে থাকা তাদের সংগঠনের ৯ সদস্যের মুক্তি দাবি করে। জাপান এয়ারলাইন্সের চার্টার্ড বিমানে করে মুক্তিপণ হিসেবে টাকা ও ছয় রেড আর্মি বন্দিকে নিয়ে আসা হয়। একই দিনে তাদের মধ্যে বিনিময় হয়। ওইদিন হাইজ্যাকাররা ১১৮ যাত্রী এবং ক্রুকে মুক্তি দেয়। পরের দিন ৩ অক্টোবর ছিনতাইকারীরা বিমানটি নিয়ে সিরিয়ার দামেস্কে পৌঁছায়। সেখানে তারা ১১ জিম্মিকে মুক্তি দেয়। শেষমেষ বিমানটি আলজেরিয়ায় উড়ে যায়। বিমানটি বাজেয়াপ্ত হয় এবং বাকিদেরও মুক্ত করা হয়। 

ইজিপ্ট ফ্লাইট ৬৪৮ (২৩ নভেম্বর ১৯৮৫)
বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলোর মধ্যে এখ্নও আবু নিদাল সংগঠনের হামলাগুলোর একটি বলে গণ্য করা হয়। অনেকগুলো মৃত্যুর কারণ হয়েছিল বলে এটিকে ভয়ঙ্কর বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনা বলা হয়। ১৯৮৫ সালের ২৩ নভেম্বর উড্ডয়নের মাত্র ১০ মিনিট পরই বিমানটি আক্রান্ত হয়। ইজিপ্ট রেভ্যুলুশন পরিচয় দেওয়া ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী দলটি অস্ত্রশস্ত্র ও গ্রেনেড নিয়ে বিমানটি নিয়ন্ত্রণে উঠেপড়ে লাগে। দলের নেতা ওমর রাজ্জাক যাত্রীদের পাসপোর্ট কেড়ে নিতে শুরু করলেন। তখন ইজিপশিয়ান সিকিউরিটি অফিসার গুলি চালালে সেখানেই একজন সন্ত্রাসী নিহত হয়। এর পর পরই বিমানটিতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং ছিনতাইকারীরা নৃশংস হয়ে ওঠে। ১২জন নিহত হন। গন্তব্য ছিল লিবিয়া। জ্বালানির অভাবে মাল্টায় অবতরণে বাধ্য হয়। 

প্রথম ব্রিটিশ বিমান (৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭০)
১৯৭০ সালে চারটি বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়। এর মধ্যে ছিল ছিনতাইয়ের কবলে পড়া প্রথম ব্রিটিশ বিমান। ১৯৭০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতের কাছে বিওএসির ‘সুপার ডিসি-১০’ বিমানটি ১১৪ জন যাত্রীসহ ছিনতাই করে ফিলিস্তিন মুক্তির জন্য গঠিত পপুলার ফ্রন্টের গেরিলারা। অস্ত্রধারী গেরিলারা বিমানচালককে জর্ডানের আম্মানের উত্তর-পশ্চিমে একটি বিমানবন্দরে নামতে বাধ্য করে। এর আগে তারা ওখানেই সুইস বিমান ডিসি-৮ এবং টি ডব্লিউ বোয়িং-৭০৭ বিমান ১৮৪ জন যাত্রীসহ ছিনতাই করে। লন্ডনে আটক গেরিলানেত্রী লায়লা খালেদ এবং সুইজারল্যান্ড ও জার্মানিতে আটক অন্য আরব বন্দীদের মুক্তির দাবিতে তারা ওই বিমান ছিনতাই করে। তাদের এই ছিনতাই প্রচেষ্টা যেমন সফল হয়েছিল, তেমনি তাদের উদ্দেশ্যও চরিতার্থ হয়েছিল। যথাযথ কর্তৃপক্ষ জিম্মিদের জীবনের স্বার্থে শেষ পর্যন্ত গেরিলাদের দাবি মেনে নিতে বাধ্য হয়। গেরিলারা তিনটি বিমান উড়িয়ে দিলেও লায়লা খালেদ এবং অন্যদের বিনিময়ে তারা সব যাত্রীকে অক্ষত অবস্থায় ছেড়ে দেয়।

এসএমএম