• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৫, ২০১৯, ০৮:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৫, ২০১৯, ০৮:০২ পিএম

স্বাক্ষর জাল করে অস্ত্রের ভুয়া লাইসেন্স

৩৮৯ জনকে আসামি করে দুদকের চার্জশিট

৩৮৯ জনকে আসামি করে দুদকের চার্জশিট

স্বাক্ষর জাল  করে অস্ত্রের ভুয়া লাইসেন্স দেয়ার ঘটনায় জড়িত একজন কম্পিউটার অপারেটরসহ ৩৮৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুদক। চার্জশিটে অভিযুক্ত সবাই বৃহত্তর রংপুরের স্থানীয় বাসিন্দা।

রংপুর জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের এক কম্পিউটার অপারেটরসহ ৩৮৯ জনের সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েই এ চার্জশিট জমা দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এর আগে দুদকের এক মামলার তদন্তে এ তথ্য বেরিয়ে আসার পর চার্জশিট অনুমোদন দেয় সংস্থাটি।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান এই তদন্ত করেন।

২০১৭ সালের ১৮ মে রংপুর কোতোয়ালী থানায় অবৈধভাবে অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়ার অভিযোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য দুদককে দায়িত্ব দেয় আদালত।

তদন্তে বেআইনিভাবে ৩৮৯ জনকে অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া ও একজন এতে মাধ্যম হিসেবে কাজ করার অভিযোগে মোট ৩৯১ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র অনুমোদন করে কমিশন।

দুদক জানায়, রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারী শামসুল ইসলাম ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সালের ১৬ মে পর্যন্ত সেখানে কর্মরত ছিলেন। ওই সময়ে তিনি ডিসি অফিসের আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স শাখার ভলিউম সংরক্ষণ, লাইসেন্স প্রত্যাশীদের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরবার আবেদন গ্রহণ করে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনারের কাছে তা উপস্থাপন, পুলিশ প্রতিবেদন গ্রহণ এবং লাইসেন্স প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার অনুমোদিত হলে ফরমে এবং ভলিউমের পাতায় প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে জুডিসিয়াল মুন্সিখানা শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষর গ্রহণ এবং লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন করার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। এ কাজে নিয়োজিত থেকে তিনি অবৈধভাবে আর্থিক লাভবান হয়ে ২১টি ভলিউম বইয়ের ৩৮৯টি লাইসেন্সের পুরাতন পাতা ছিড়ে তাতে নতুন পাতা সংযোজন করে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ৩৮৯ জন ব্যক্তির নামে এসব ভুয়া লাইসেন্স দেন। এসব কাজের মাধ্যমে ঘুষ হিসেবে তিনি ২০ লাখ ১০০ টাকা অর্জন করে তার ব্যবহৃত আলমারিতে নগদ, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক এফডিআরের মাধ্যমে রেখেছেন। 

তদন্তের সময় ৩৫৭টি অবৈধ লাইসেন্স, ৩৫৪টি অস্ত্র ও চার হাজার ৩৮টি কার্তুজ উদ্ধার করে আদালতে জমা দেয়া হয়।

দুদক সূত্র জানায়, অবৈধভাবে লাইসেন্স পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য বলে জানা গেছে। আসামিদের মধ্যে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য রয়েছেন। তাদের অনেকেই রাজনৈতিক ব্যক্তিসহ বড় বড় ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এইচএম/এসএমএম